আফ্রিকার দেশগুলোতে এমপক্সের ক্রমাগত বিস্তার হচ্ছে। এমতাবস্থায় বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
গত দুই বছরের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এমপক্সের কারণে জরুরি অবস্থা জারি করা হলো। এর আগে ২০২২ সালে এমপক্সের প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল।
সবার আগে কঙ্গোতে এমপক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এরপর প্রতিবেশী দেশগুলো এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। কঙ্গোতে এমপক্সের প্রাথমিক প্রাদুর্ভাবে অন্তত ৪৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কঙ্গোতে এমপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৭০০ জন। বুরুন্ডি, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকান, কেনিয়া ও রুয়ান্ডাতেও এই ভাইরাস সংক্রমণ দেখা দিয়েছে।
গতকাল বুধবার ডব্লিউএইচও এক বিবৃতিতে জানায়, আফ্রিকার ১৩টি দেশে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ও এর নতুন ধরনটি আরও দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসাস বলেন, “আফ্রিকা ও এর বাইরে দ্রুত এই ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা খুবই উদ্বেগজনক। গতকাল বুধবার জরুরি কমিটির বৈঠকের পর আন্তর্জাতিক উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, এর আগে এই ভাইরাস মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত ছিল। এমপক্স আক্রান্তের সংস্পর্শে যাওয়া ব্যক্তির এতে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটা যৌন সম্পর্ক, ত্বকের সংস্পর্শ, কথা বলা বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেও সংক্রমিত হতে পারে। এত ফ্লুর মতো উপসর্গের পাশাপাশি ক্ষত সৃষ্টি হয়। অনেক সময় প্রভাব সামান্য প্রভাব দেখা গেলেও ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।