আরব নেতারা চায় যুদ্ধবিরতি, যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নভেম্বর ৫, ২০২৩, ০৯:২৩ এএম

আরব নেতারা চায় যুদ্ধবিরতি, যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি

আরব নেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন ব্লিঙ্কেন।

অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে আরব দেশগুলো। তবে  যুক্তরাষ্ট্র এখন গাজায় কোনো যুদ্ধবিরতি চায় না। যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে  যুদ্ধবিরতি হলে হামাস পুনরায় সংগঠিত হবে এবং আবার হামলা চালাতে পারে সংগঠনটি। তবে দেশটি যুদ্ধে মানবিক বিরতির আহ্বান জানিয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ইসরায়েল সফর শেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শনিবার জর্ডানের রাজধানী আম্মানে অবস্থান করছেন। সেখানে তিনি লেবানন, কাতার, জর্ডান, মিশর, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন ।

জানা যায়, আরব নেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন ব্লিঙ্কেন। জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছেন, এটা কোনো আত্মরক্ষা হতে পারে না। মানুষ হিসেবে আমরা এই হত্যাকাণ্ড মেনে নিতে পারি না। এই হত্যাকাণ্ড আর ধ্বংসযজ্ঞকে আমরা কীভাবে ন্যায্য বলে মেনে নিতে পারি? 

সাফাদি আরও বলেন, কোনো অজুহাতে এই হামলাকে ন্যায়সঙ্গত করা যাবে না এবং এটি ইসরায়েলে নিরাপত্তা আনবে না, ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে না।

গাজায় কোনো শর্ত ছাড়াই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শুকরি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে দ্বিমুখী আচরণ থেকে সরে আসতে বলেছেন।

তবে ব্লিঙ্কেন যুদ্ধবিরতির পরিবর্তে যুদ্ধে মানবিক বিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছেন। তার মতে, এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি অর্জনের বিষয়ে আরব নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র একমত না হলেও তাদের লক্ষ্য একই।

গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামাসের হামলার জবাবে গাজায় টানা বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। অব্যাহত বোমাবর্ষণের মধ্যেই এবার সেখানে বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনারা।

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় সাড়ে ৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও ২২ হাজার ফিলিস্তিনি।

Link copied!