মে ২৩, ২০২৪, ০৩:৫১ এএম
মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে মিশর। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার এই খবর প্রকাশ করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সংলাপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, সম্প্রতি হামাস যুদ্ধবিরতির যে খসড়া চুক্তির বিষয়ে সমর্থন জানিয়েছে, প্রকৃত চুক্তি সেটা নয়।
কিছু মহল মিশরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলছে। যারা এসব করছে, তারা জানে না যে মিসর কিন্তু এই যুদ্ধে জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে, নিজের ইচ্ছেয় নয়
- দিয়া রাশওয়ান
প্রধান, তথ্য বিভাগ, মিশর
অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের কর্মকর্তারা বৈঠকে বসে যেসব শর্ত খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন, সেগুলোর মধ্যে কয়েকটির বিকৃতি ঘটিয়েছেন মিশরীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এরপর সেটা হামাসের কাছে পাঠানো হয়।
এদিকে এই খবর ‘ফাঁস’ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের কমকর্তারা মিশরের প্রতি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন, দোষারোপ করেছিলেন এবং শান্তি আলোচনা প্রক্রিয়ায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে মার্কিন শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) পরিচালক উইলিয়াম বার্নসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সফল হয়নি সিএনএন।
শুক্রবারের বার্তায় মিশরের তথ্য বিভাগের প্রধান দিয়া রাশওয়ান বলেন, ‘কিছু মহল মিশরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলছে। যারা এসব করছে, তারা জানে না যে মিশর কিন্তু এই যুদ্ধে জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে, নিজের ইচ্ছায় নয়।’
গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে হামলা চালায় হামাস। এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি। এরপর তারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে দেশটির ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে। জিম্মি হিসেবে ২৪২ জনকে ধরে রাখে।
হামাসের হামলার জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। চলমান সেই অভিযানে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৭০৯ জন। আহত হয়েছেন ৭৯ হাজার ৯৯০ জন। সেই সঙ্গে ইসরায়েলের ১ হাজার ১৩৯ জনকে জিম্মি করে রেখেছে হামাস।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল