মে ৭, ২০২৫, ০৩:০৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
গভীর রাতে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে পাকিস্তানে কতজন নিহত হয়েছেন তা নিয়ে দুই দেশের পক্ষ থেকে দুই ধরণের দাবি উঠেছে। ভারত বলছে, ৭০ জনকে হত্যা করেছে তারা, এদেরকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের দাবি, হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের সবাই ‘বেসামরিক’ মানুষ।
বুধবার, ০৭ মে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে ভারত পাকিস্তান এবং পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ৯টি স্থানে ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ৭০ জন ‘সন্ত্রাসীকে’ হত্যা করেছে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন লিখেছে, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানের ২৬ জন ‘বেসামরিক’ মানুষ নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরীর বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানি হয়। এর পর থেকে পারমাণবিক ক্ষমতাধর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। প্রতিদিনই সীমান্তে গুলি ছোড়ে দুই পক্ষ। চলমান এই উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানে মঙ্গলবার মধ্যরাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ভারত।
এনডিটিভিকে সূত্র জানিয়েছে, অপারেশন সিঁদুর কেবল সামরিক প্রতিশোধের চেয়েও বেশি কিছু ছিল। এটি কৌশলগত সংকল্পের একটি বিবৃতি ছিল। সন্ত্রাসবাদী-সম্পর্কিত ৯টি স্থানে ২৪টি সুনির্দিষ্টভাবে সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে ভারত প্রমাণ করেছে যে, তারা আর সীমান্ত সন্ত্রাসবাদ সহ্য করবে না, এমনকি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতাও সহ্য করবে না।
প্রতিবেদন বলছে, ৯টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলায় ৬০ জনেরও বেশি সন্ত্রাসী আহত হয়েছে। এসব এলাকার মধ্যে আছে মুজাফফরাবাদ, কোটলি, বাহাওয়ালপুর, রাওয়ালকোট, চকস্বরী, ভিম্বার, নীলম উপত্যকা, ঝিলাম এবং চকওয়াল।
সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, এই স্থানগুলোকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। লস্কর-ই-তৈয়বা এবং জইশ-ই-মোহাম্মদের সাথে সম্পর্কিত শিবিরগুলোকে লক্ষ্য করে নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।
এদিকে পাকিস্তান আইএসপিআরের মহাপরিচালক জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের ছয়টি জায়গায় ২৪টি স্থাপনায় বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে ভারত। এই হামলায় অন্তত ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৪৬ জন।