আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের প্রাইমারি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকান দলের এই প্রার্থীকে নির্বাচনে কলোরাডো অঙ্গরাজ্য থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) কলোরাডো সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে এই নির্দেশ দিয়েছে।
আদালতের রায়ে বলা হয়, ‘আমরা হালকাভাবে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাইনি। আমরা আমাদের সামনে উত্থাপিত প্রশ্নগুলোর মাত্রা ও ওজন সম্পর্কে সচেতন। আমরা একইভাবে আইন প্রয়োগের বিষয়ে আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের সমর্থকরা ক্যাপিটল হিলে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন, সেখানে তার ভূমিকার জন্য কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প লড়তে পারবেন না। এ সময় তারা মার্কিন সংবিধানের ‘বিদ্রোহ’ সংক্রান্ত ধারাগুলোর আশ্রয় নেন। ওই ধারা অনুযায়ী, যারা বিদ্রোহ করবেন তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সাতজন বিচারকের একটি বেঞ্চ সংবিধানের ‘বিদ্রোহ’ সংক্রান্ত ধারাগুলো আমলে নিয়ে ৪-৩ ভোটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই রায় দেন। আমেরিকার ইতিহাসে ট্রাম্পই একমাত্র প্রেসিডেন্ট যাকে পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য অনুপযোগী বলে ঘোষণা করা হলো। তবে রায়টি শুধুমাত্র কলোরাডোর ৫ মার্চের প্রাইমারি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি থেকে এই রায় কার্যকর হবে। রায় ঘোষণা ও কার্যকরের মধ্যবর্তী সময়ে রায়ের বিরুদ্ধে ট্রাম্পকে আপিল করার সুযোগ দিয়েছে কলোরাডোর আদালত।
এদিকে এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার মুখপাত্র স্টিভেন শেউং এই রায়কে ‘সম্পূর্ণ ত্রুটিপূর্ণ’ বলে অভিহিত করে বলেছেন, এই রায়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিচারকেরা প্রত্যেকেই ডেমোক্র্যাটিক গভর্নরদের আমলে নিযুক্ত। ট্রাম্পের প্রভাবশালী নেতৃত্বকে ভোটারেরা অব্যাহতভাবে সমর্থন জানানোয় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতারা বিভ্রান্তিতে পড়ে গেছেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে দ্রুত আপিল করা হবে বলেও জানান তিনি।
এই রায়ের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের প্রচারণা দল বলেছে, ‘চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলোরাডোর সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগেও ট্রাম্পকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার অনুরোধ জানিয়ে আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সেসব আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। তবে এবার তাকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন কলোরাডোর আদালত। যদিও কলোরাডো আদালতের এই রায় অন্য অঙ্গরাজ্যের জন্য প্রযোজ্য নয়।