গাজায় পলিও টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য অন্তত তিনদিন মানবিক যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েল সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। জানা গেছে, এই তিনদিন পার হওয়ার পরও পলিও টিকাদান শেষ করা না হলে মানবিক যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকতে পারে।
ফিলিস্তিনে ডব্লিউএইচওর প্রতিনিধি রিক পিপারকর্ন বলেন, “মধ্য গাজায় ১ সেপ্টেম্বর থেকে তিনদিনব্যাপী পলিও টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। টিকাদানের এই সময় জুড়ে মানবিক যুদ্ধবিরতি থাকবে।”
পয়ঃব্যবস্থার অভাব, স্বাস্থ্যসেবায় প্রতিবন্ধকতা ও টিকা-সংকটে গাজায় দ্রুত পলিও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভাইরাসটি ইসরায়েলেও ছড়াতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলের প্রতি টিকাদান কর্মসূচির জন্য অনুরোধ জানিয়ে আসছিলেন। তাদের তীব্র চাপের মুখে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস পলিও টিকাদানের জন্য ইসরায়েলের মানবিক যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে। সংগঠনটির কর্মকর্তা বাসেম নাইম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সহায়তা করতে প্রস্তুত হামাস।
এদিকে মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় ইসরায়েলকে স্বাগত জানিয়েছেন দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের অধ্যাপক মোহামেদ এলমাসরি। তবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।
গাজার বাসিন্দাদের মধ্যে যারা অগণিত সমস্যায় ভুগছেন , তাদের কী হবে? সত্যিকার অর্থে ক্ষুধার কারণে অনেক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। তবে বড় পরিসরে আরও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নয় কেন? এমন প্রশ্ন করা হলে জবাবে এলমাসরি বলেন, “এই প্রশ্নের জবাব একেবারেই স্পষ্ট। কারণ ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চায় না। তারা এটি স্পষ্ট করেছে যে তারা গাজায় কমবেশি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য যুদ্ধ জারি রাখতে চায়।”
প্রসঙ্গত, টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘের দুই হাজারেরও বেশি কর্মী প্রস্তুত রয়েছেন। জাতিসংঘ কর্মকর্তারা বলেন, তাদের ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে যে তিনদিনের মধ্যে টিকাদান কর্মসূচি শেষ করা সম্ভব না হলে তাদের অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে।
সূত্র: বিবিসি