শনিবারের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি চায় ইসরায়েল, না হলে যুদ্ধবিরতি অবসানের হুমকি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫, ১২:২৭ পিএম

শনিবারের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি চায় ইসরায়েল, না হলে যুদ্ধবিরতি অবসানের হুমকি

ছবি: সংগৃহীত

শনিবার দুপুরের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি না দিলে যুদ্ধবিরতির অবসান হবে এবং আবারো তুমুল লড়াই শুরু হবে বলে হামাসকে সতর্ক করে দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

জিম্মি মুক্তি স্থগিত করা নিয়ে হামাসের ঘোষণার জবাবে তিনি ইসরায়েলি সৈন্যদের গাজা উপত্যকার ভেতরে ও বাইরে জড়ো হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তবে তিনি সুনির্দিষ্ট করে বলেননি যে তিনি এখনও জিম্মি থাকা মোট ৭৬ জনের মুক্তি চান, না কি শনিবার যে তিনজনকে মুক্তি দেয়ার কথা- তাদের কথা বলছেন। তবে একজন মন্ত্রী বলেছেন এখানে ‘সবার’ কথাই বোঝানো হয়েছে। খবর বিবিসি বাংলা।

হামাস জবাবে বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি তারা এখনও অঙ্গীকারাবদ্ধ এবং জটিলতা কিংবা বিলম্বের জন্য ইসরায়েলই দায়ী। তাদের অভিযোগ, ইসরায়েল মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে বাধা দিচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েল এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

শনিবারের নির্ধারিত জিম্মি মুক্তি কার্যক্রম বিলম্বিত করতে হামাসের সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবারের মধ্যে জিম্মিরা সবাই না ফিরলে ইসরায়েলকে চুক্তি বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির চার ঘণ্টার সভা শেষে নেতানিয়াহু এক ভিডিও বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন ও আমাদের জিম্মিদের মুক্তি না দিয়ে হামাসের ঘোষণার আলোকে গত রাতে আমি আইডিএফ (ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স)-কে গাজা উপত্যকার ভেতরে ও বাইরে জড়ো হওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।”

এই সিদ্ধান্ত শিগগিরই কার্যকর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এরপর তিনি একটি আল্টিমেটাম জানিয়ে দেন যা তার মতে নিরাপত্তা কেবিনেটে সর্বসম্মতভাবে অনুমোদিত হয়েছে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপটি ছয় সপ্তাহের হওয়ার কথা। এতে ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে ১৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি পাওয়ার কথা। এখন পর্যন্ত ১৬ জন জিম্মি মুক্তি পেয়েছেন। এছাড়া হামাস আরও পাঁচজন থাই জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে।

হামাসের হাতে থাকা বাকি ১৭ জিম্মির মধ্যে দুটি শিশু, একজন নারী এবং পাঁচজন পুরুষ রয়েছেন যাদের বয়স ৫০ বছরের বেশি। বাকিদের বয়স ৫০ বছরের কম।

উভয়পক্ষ জানিয়েছে এ পর্যন্ত আট জন জিম্মি মারা গেছেন। তবে এর মধ্যে একজনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহার, হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে ঘরে ফেরার সুযোগ দেয়া এবং শত শত ত্রাণবাহী লরিকে প্রতিদিন গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয়ার কথা।

২০২৩ সালের ০৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজার ১২০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

Link copied!