নভেম্বর ১৭, ২০২৩, ০৭:০০ পিএম
হামাস যোদ্ধাদের হাতে জিম্মি থাকা আরও এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। ইহুদিত ওয়েইস (৬৫) নামের ওই নারীর মরদেহ গাজার আল-শিফা হাসপাতালের কাছে থেকে উদ্ধার করা হয় বলে তারা জানায়।
টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইহুদিত ওয়েইসের মরদেহ আল শিফা হাসপাতাল সংলগ্ন একটি ঘরে ছিল। গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলার সময় তাঁকে জিম্মি করে সেখানে নেওয়া হয়েছিল বলে জানায় ইসরায়েল। তিনি ব্রেস্ট ক্যান্সারের জন্য চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তাঁর স্বামীকে ওই সময় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। মোট ২৪০ জনকে হামাস জিম্মি করেছে বলে জানিয়েছিল ইসরায়েল।
ইহুদিত ওয়েইস কিবুতযের একটি কিন্ডারগার্টেনে কাজ করতেন। এক বিবৃতিতে দেশটির সেনাবাহিনী বলেছে, ওই নারীর মরদেহ যেখানে ছিল সেখানে কালাশনিকভ রাইফেল ও রকেট চালিত গ্রেনেড পাওয়া গেছে।
এর আগে সেনাসদস্যের নোয়া মারকিয়ানো (১৯) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মধ্যে ওয়েইস ও মার্সিয়ানোর মরদেই প্রথম পাওয়া গেল। এর আগে হামাস কয়েকজন ইসরায়েলি ও আমেরিকান নাগরিককে ছেড়ে দিয়েছিল যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার জন্য।
এদিকে এই হাসপাতালের নিচে হামাসের ঘাঁটি রয়েছে—এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সেখানে অভিযান চালাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক যুদ্ধ আইনের লঙ্ঘন। তবে হামাস বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
ইসরায়েল বলছে, গাজায় আল শিফা হাসপাতালের ভেতরে দ্বিতীয় দিনের মতো তাদের অভিযান চলছে। সেখানে তারা হামাসের একটি টানেলের সংযোগস্থলের সন্ধান পেয়েছে বলে দাবি করেছে। ইসরায়েলি ট্যাংক হাসপাতালটি ঘিরে রেখেছে, ওপরে ঘুরছে ড্রোন।
হাসপাতালের ভেতরে আটকেপড়া একজন সাংবাদিক বিবিসির সংবাদদাতাকে ফোনে জানিয়েছেন, ‘ইসরায়েলি সৈন্যদের সব জায়গায় দেখা যাচ্ছে এবং তারা সব দিক থেকে গুলি করছে।’
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, আল-শিফা হাসপাতালে হামাসের একটি কমান্ড সেন্টার রয়েছে বলে ইসরায়েলের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।