শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের উদ্বেগ কাটছেই না। দেশটির গণমাধ্যমে নানা ধরণের প্রচারণা চলছে। রাজনীতিবিদরাও বাংলাদেশ চর্চা নিয়ে মেতে উঠেছেন। পিছিয়ে নেই দেশটির নীতিনির্ধারকরাও।
বিভিন্ন বক্তব্য বিবৃতি দিচ্ছেন তারাও। আর এর মধ্যেই খবর খবর এলো- ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথের আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
রেকর্ড গড়ে আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাম্প। আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউজের গদিতে বসবেন তিনি।
ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে ঢোকার আগেই দেশটি সফর করছেন আমেরিকার মিত্র বলে পরিচিত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর। আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে তার। এই সফরের মধ্যে দিয়ে ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে আশা করছে ভারত সরকার। একই সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ওঠে কি না সেদিকেই নজর থাকছে সবার।
ভারতের সংবাদমাধ্যম পিটিআই জানিয়েছে, এস জয়শংকরের সফর হবে ৫ দিনের। আগামমী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওয়াশিংটনে থাকবেন তিনি। এই সফরে তিনি দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। বৈঠকে বসবেন আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গেও।
সফরে বিদায়ী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন জয়শংকর। পাশাপাশি তিনি সাক্ষাৎ করতে পারেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও। তাদের কাছে পৌছে দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তা।
মনে করা হচ্ছে, এই সফরে জয়শংকর বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করতে পারেন। এর আগে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এদিকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে এরি মধ্যে দিল্লিকে নোট ভারবাল পাঠিয়েছে ঢাকা। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
এই আবহের মধ্যে জয়শংকরের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে বলে ভারতয়ি সংবাদমাদ্যমের খবর।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদির বন্ধুত্বের কথা সবারই জানা। নির্বাচনে বিজয়ের পরই বন্ধুকে অভিনন্দন জানান মোদি। শুভেচ্ছাবার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ঐতিহাসিক জয়ের জন্য প্রিয় বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনেক শুভেচ্ছা। আমি আগামিদিনে তাঁর সাফল্য কামনা করি। আমি খুবই আগ্রহী আমাদের সম্পর্কে পুনর্জীবিত করার জন্য। এই বন্ধন কৌশলগত দিক দিয়ে ভারত-আমেরিকাকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে। বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি ও মানবকল্যাণে আমরা একযোগে কাজ করবো।
মোদির এমন উচ্ছস্বিত প্রশংসার কারণেই অনেকেই ভাবছেন যে, ভবিষ্যতে দিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরো মজুবত হবে।