বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থার যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক জুলিয়েট তোউমা বলেছেন, ‘আমাদের দেখা এটিই সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতি। এটি গাজাকে স্রেফ নরকের মুখে ঠেলে দেওয়ার মতো। মর্মান্তিক এই দৃশ্য বিশ্ব কেবল দর্শক হয়ে দেখছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করছেন তাঁরা বলছেন, এটি একধরনের গণপলায়নের মতোই। মানুষ এ অঞ্চল ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। কেউ যাচ্ছে তাদের গাড়ি নিয়ে, কেউ হেঁটে, কেউ তাদের তোশক-বালিশ নিয়ে ছুটছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ আতঙ্কিত হয়ে আছে। ভয়াবহ আতঙ্কিত!’
ইসরায়েলর সেনাবাহিনী গাজার অধিবাসীদের উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে সরে যেতে মাত্র তিন ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে। গত ১৩ অক্টোবরও একই কারণে গাজাবাসীকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল দেশটি।
কিন্তু এটা এখনো স্পষ্ট নয় যে ইসরায়েলের দেওয়া আল্টিমেটামে ঠিক কতজন গাজার উত্তরাঞ্চল ছেড়ে দক্ষিণে যাচ্ছে । জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার মনে, এটা একধরনের ‘গণপলায়ন’।
গত ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলে হামলা করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের দিকে ৫ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে হামাস। একই সাথে হামাস যোদ্ধারা স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে ইসরায়েলে ঢুকে পড়েন ।
এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে । এরপর থেকেই দফায় দফায় গাজায় বিমান, স্থল এমনকি নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।