মণিপুরে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আগস্ট ৪, ২০২৩, ০২:৩৯ পিএম

মণিপুরে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট

সংগৃহীত ছবি

ভারতের মণিপুর রাজ্যে দুটি নিরাপত্তা ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটের ঘটনা ঘটেছে। আরেক ঘটনায় গোলাগুলিতে পুলিশের এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার রাজ্যটির পশ্চিম ইম্ফল ও বিষ্ণুপুর জেলায় পৃথক এ ঘটনা ঘটে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।

মণিপুর পুলিশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানায়, নারী ও পুরুষসহ একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা রাজ্যের বিষ্ণুপুরে মণিপুর আর্মড পুলিশের দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়নের কিরেনফাবি পুলিশ ফাঁড়ি ও থাঙ্গালাওয়াই পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে তছনছ করে এবং  অস্ত্রশস্ত্রসহ গোলাবারুদ লুট করে। উচ্ছৃঙ্খল জনতা পূর্ব ইম্ফলের হেইনগাং ও সিংজামেই থানায় হামলা চালিয়ে অস্ত্রলুটের চেষ্টা চালায়। তবে  নিরাপত্তা বাহিনী তাদের হামলা প্রতিরোধ করে।

রাজ্য সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পশ্চিম ইম্ফলের কৌত্রুক, হারাওথেল, সেঞ্জাম চিরাং এলাকায় সশস্ত্র হামলাকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গোলাগুলি হয়েছে। এতে এক নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ দুইজন আহত হয়েছেন।   

 

সেঞ্জাম চিরাংয়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মণিপুর পুলিশের এক সদস্য নিহত হয়েছেন।

আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্দেহভাজন বিদ্রোহীরা কৌত্রুক ও সেঞ্জাম চিরাংয়ে নিকটবর্তী পাহাড়শ্রেণি থেকে গুলিবর্ষণ করলে গোলাগুলি শুরু হয়। এতে স্থানীয় গ্রামের এক স্বেচ্ছাসেবক আহত হন।  

এসব ঘটনায় পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করেছে রাজ্য সরকার।  রাজ্য পুলিশ জানায়, মণিপুরের পাহাড়ি ও উপত্যকার জেলাগুলোতে মোট ১২৯টি চেকপয়েন্ট বসানো হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রায় ১০৪৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় এ রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ অধিবাসী মেইতেইরা সম্প্রতি জনজাতি সম্প্রদায়ের মর্যাদা দাবি করলে এনিয়ে সংখ্যালঘু জনজাতি সম্প্রদায় কুকিদের সাথে তাদের জাতিগত দাঙ্গা শুরু হয়। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এসব দাঙ্গা ও সহিংসতার ঘটনায় কয়েকশ মানুষ নিহত ও কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়।  

Link copied!