বেটা
জানুয়ারি ২১, ২০২৫, ১২:২২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক উদ্যাপনের সমাবেশে বক্তৃতাকালে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের হাতের একটি অঙ্গভঙ্গি নিয়ে অনলাইনে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। কেউ কেউ মাস্কের এই অঙ্গভঙ্গিকে ‘নাৎসি’ বা ‘ফ্যাসিবাদী’ অঙ্গভঙ্গির সঙ্গে তুলনা করছেন।
গতকাল সোমবার ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই অভিষেক উদ্যাপনে ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ওয়ান এরিনায় একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এই সমাবেশে তার সমর্থকেরা অংশ নেন।
সমাবেশের মঞ্চে ওঠেন এক্স, স্পেসএক্স ও টেসলার প্রধান মাস্ক। মঞ্চে উঠে ব্যাপক উল্লাস-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনি। একপর্যায়ে তিনি একটি বিশেষ অঙ্গভঙ্গি করেন।
মাস্ক তার ঠোঁট কামড়ে ধরেন। আঙুল প্রসারিত করা ডান হাত বুকের বাঁ পাশে স্পর্শ করেন। এরপর আঙুল প্রসারিত করা এই ডান জোরের সঙ্গে ঊর্ধ্বমুখী করে চিৎকার দিয়ে বলেন, ‘ইয়েসসসস’। পরে তিনি ঘুরে তাঁর পেছনের দিকে থাকা দর্শকদের একই অঙ্গভঙ্গি দেখান।
মাস্ক তার ভাষণে বলেন, ট্রাম্পের বিজয় কোনো সাধারণ বিজয় ছিল না। এই বিজয় সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।
এই বিজয় নিশ্চিত করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান মাস্ক। তিনি বলেন, সভ্যতার ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
ট্রাম্পের অভিষেক উদ্যাপনের সমাবেশে মাস্কের এই অঙ্গভঙ্গি দ্রুত অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
ইসরায়েলি সংবাদপত্র জেরুজালেম পোস্ট প্রশ্ন তোলে, ট্রাম্পের অভিষেক উদ্যাপনে মাস্ক কি নাৎসি কায়দায় বিজয়ের অভিবাদন (স্যালুট) দিলেন?
ইতিহাসবিদ ক্লেয়ার আউবিন নাৎসিবাদ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। তাঁর মতে, মাস্কের অঙ্গভঙ্গিটি ছিল নাৎসি কায়দার অভিবাদন।
ফ্যাসিবাদসংক্রান্ত ইতিহাসবিদ রুথ বেন-গিয়াটও মাস্কের অঙ্গভঙ্গির সঙ্গে নাৎসি অভিবাদনের মিল খুঁজে পেয়েছেন।
মাস্কের এই অঙ্গভঙ্গি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্যরাও সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।
সমাবেশে অংশ নেওয়া এক ব্যক্তি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, তিনি ভেবেছিলেন, মাস্ক রসিকতার অংশ হিসেবে এই অঙ্গভঙ্গি করেছেন।
তবে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে কাজ করা সংগঠন অ্যান্টি-ডিফেমেশন লিগ মাস্কের অঙ্গভঙ্গিতে কোনো সমস্যা দেখছে না।
সংগঠনটি বলেছে, বিষয়টি তেমন নয়। বরং এই অঙ্গভঙ্গি মাস্কের উচ্ছ্বাসের একটি মুহূর্ত বলে মনে হচ্ছে। এটি নাৎসি অভিবাদন নয়। কিন্তু তারা এই বিষয়ের প্রশংসা করেন যে লোকজন নাৎসিবাদ বিষয়ে সতর্ক।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মাস্ক ও ট্রাম্পের মুখপাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। কিন্তু তারা তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুরোধে সাড়া দেননি।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফার প্রশাসনে থাকছেন মার্কিন প্রযুক্তি খাতের ধনকুবের মাস্ক। ট্রাম্প সরকারি ব্যয় সংকোচনে নতুন একটি বিভাগ চালু করবেন। এই বিভাগের দুই প্রধানের একজন হবেন মাস্ক।
