আগস্ট ২৭, ২০২৪, ০৪:২৬ এএম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফোনালাপের পর দেওয়া বিবৃতিতে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কোনও কিছু উল্লেখ করেনি হোয়াইট হাউস। যদিও এর আগে নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছিলেন, জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয়েছে।
জানা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে ইউক্রেন পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে বিশদাকারে মতবিনিময় করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) নিজের অ্যাকাউন্টে জো বাইডেনের সঙ্গে আলাপের বিষয়টি জানান নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপে ইউক্রেন পরিস্থিতিসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নানা বিষয়ে বিশদভাবে মতবিনিময় করা হয়েছে। আমি শান্তি ও স্থিতিশীলতার দ্রুত ফিরে আসার বিষয়ে ভারতের পূর্ণ সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি ও দেশটিতে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছি। পাশাপাশি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু- বিশেষ করে হিন্দুদের (সনাতন ধর্মাবলম্বী) নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ফোনালাপের পর হোয়াইট হাউসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এতে বাইডেন ও মোদির মধ্যে সংঘটিত এই ফোনালাপে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে কি না সেটা উল্লেখ করা হয়নি। যদিও নরেন্দ্র মোদি তার এক্সে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে জো বাইডেনের সঙ্গে কথা হয়েছে উল্লেখ করার ফলে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সেটা খবরের শিরোনাম হয়। অথচ হোয়াইট হাউসের বিজ্ঞপ্তিতে এ-সংক্রান্ত কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। এতে বলা হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক পোল্যান্ড ও ইউক্রেন সফরের পাশাপাশি আগামী সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠক নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পোল্যান্ড ও ইউক্রেনে তার ঐতিহাসিক সফর এবং জ্বালানি খাতসহ ইউক্রেনের জন্য শান্তি ও চলমান মানবিক সহায়তার বার্তা দেওয়ায় নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
হোয়াইট হাউসের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, নেতৃবৃন্দ জাতিসংঘ সনদের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য তাদের অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন। এ ছাড়া দুই দেশের নেতা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে কোয়াডের মতো আঞ্চলিক গোষ্ঠীর মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করার জন্য তাদের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, ভয়েস অব আমেরিকা