হজের খুতবায় ফিলিস্তিনিদের জন্য রহমত কামনা করে দোয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুন ১৫, ২০২৪, ০৬:২৮ পিএম

হজের খুতবায় ফিলিস্তিনিদের জন্য রহমত কামনা করে দোয়া

ছবি: সংগৃহীত

হজে মক্কার অদূরে আরাফাতের প্রান্তরে সমবেত হয়েছেন প্রায় ২০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলিম। তাদের উদ্দেশ্যে হজের খুতবা পাঠ করেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব ড. শেখ মাহের বিন হামাদ। বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৫ জুন) বিকেল সোয়া তিনটার দিকে খুতবা শুরু হয়। চলে প্রায় আধাঘণ্টা। বাংলাসহ প্রায় ৫০টি ভাষায় এটি অনুবাদ করে শোনানো হয়।

আরাফাতের ময়দানে সমবেত হয়ে আল্লাহ তাআলার দরবারে উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন হাজিরা। শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করবেন তারা। হাজিরা এক আজানে জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন।  

হজের খুতবায় মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব বলেন, “হে মানুষ, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর আনুগত্য করো, কোরআনে বলা হয়েছে যে অন্যায় করবে আল্লাহ তাকে শাস্তি দেবেন।”

তিনি বলেন, “ইবাদত শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য এবং বিধান শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য। আর যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করবে সে এমন জায়গা থেকে রিজিক পাবে যেখান থেকে সে কল্পনাও করতে পারবে না।”

তিনি আরও বলেন, “আল্লাহ তায়ালা সবকিছুর মালিক। তিনি আমাদের জন্য রহমত হিসেবে কোরআন অবতীর্ণ করেছেন। কোরআন এমন একটি গ্রন্থ যার প্রতিটি আয়াত প্রজ্ঞায় পরিপূর্ণ। এই কোরআন মানুষকে সরল পথ দেখায়।”

খুতবায় তিনি আরও বলেন, “তাকওয়া মানুষকে সফলতা ও মুক্তি দেয়, তাকওয়া অবলম্বনকারীরা কিয়ামতের দিন দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্ত থাকবে। সে তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে এমন জায়গা থেকে রিজিক দেবেন যেখান থেকে সে কল্পনাও করতে পারবে না। যে তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে তাকে প্রতিদান দেবেন।”

তিনি বলেন, “আল্লাহ তায়ালা হযরত মুহাম্মদ সা.-কে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন। যারা নবীজি সা.-কে সম্মান করবে, ঈমান আনবে এবং আল্লাহ হেদায়েত স্বরূপ যে কোরআন নাজিল করেছেন তার বিধান মেনে চলবে তারাই সফল।”

হজের খুতবায় তিনি ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য রহমত কামনা করে দোয়া করেন। খুতবায় ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে তুলে ধরে তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনের মুসলমানেরা যুদ্ধের কবলে। তারা বিপর্যস্ত। তাদের খাওয়ার পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই, পৃথিবীর সবধরনের আরাম ও সুখ থেকে তারা বঞ্চিত। তাদের জন্য দোয়া করুন। বিশ্ব মুসলিমের কাছে এটা তাদের পাওনা।”

তিনি আরও বলেন, “যারা ফিলিস্তিনিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন তারাও দোয়ার হকদার। এ ছাড়াও যারা হজযাত্রীদের সেবা করছেন তারাও দোয়ার হকদার।” 

Link copied!