মার্চ ১৮, ২০২৫, ১২:২৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবিকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে বেশ কয়েকটি এলাকায় কারফিউ জারি করেছে রাজ্য সরকার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়।
১৭ শতকের মুঘল সম্রাট ছিলেন আওরঙ্গজেব। তার সমাধি আওরঙ্গবাদে অবস্থিত, যা বর্তমানে ছত্রপতি সম্ভাজিনগর জেলা নামে পরিচিত। সেখান থেকে আওরঙ্গজেব সমাধি সরিয়ে ফেলার দাবিতে গতকাল সোমবার থেকে বিক্ষোভ শুরু করে বজরং দল। পরবর্তীতে এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর পাশাপাশি ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোর গুজব ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
এমন পরিস্থিতে আজ মঙ্গলবার নাগপুরের পুলিশ কমিশনার রবীন্দ্র কুমার সিঙ্গাল ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা আইনের ১৬৩ ধারার অধীনে কারফিউ জারি করেন। এতে বলা হয়, কোতোয়ালি, গণেশপেঠ, তহসিল, লাকাডগঞ্জ, পাচপাওলি, শান্তিনগর, সক্করদারা, নন্দনবন, ইমামওয়াড়া, যশোধরানগর এবং কপিলনগর থানা এলাকায় কারফিউ জারি করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ বহাল থাকবে
পুলিশ কমিশনারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের সমর্থকরা গতকাল নাগপুরের মহল এলাকায় শিবাজি মহারাজের মূর্তির কাছে জড়ো হয়ে মহারাষ্ট্র থেকে আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করে। তারা স্লোগান দেয় এবং আওরঙ্গজেবের ছবি এবং ‘ঘাসে ভরা সবুজ কাপড়ে আবৃত একটি প্রতীকী সমাধি’ পুড়িয়ে দেয়।
গত সন্ধ্যায় এসব ঘটনাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে এবং বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে নাগপুর পুলিশ।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যারা অবৈধ কার্যকলাপ করছেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে।’