রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইভজেনি প্রিগোশিনের মৃত্যু নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি ক্রেমলিন। এমনকি এ বিষয়ে নিশ্চুপ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও।
গতকাল বুধবার রাজধানী মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গগামী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানে সাতজন যাত্রী ও তিনজন ক্রু ছিল। যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন প্রিগোশিন ও ওয়াগনারের উপপ্রধানও।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ব্যক্তিগত বিমানটি উড্ডয়নের আধা ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার পর ওই উড়োজাহাজে আগুন ধরে যায়। এখন পর্যন্ত ১০ জনেরই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত প্রিগোশিনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। এ ছাড়া রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও এখন পর্যন্ত বিধ্বস্ত বিমান ও প্রিগোশিনের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলেনি।
গ্রে জোন নামে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলের একটি পোস্টে বলা হয়, প্রিগোশিন রাশিয়ার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করার পদক্ষেপের ফল স্বরূপ মারা গেছে। গ্রে জোন চ্যানেলটি ওয়াগনার গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
এ ছাড়া মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক কর্মকর্তা ড্যানিয়েল হফম্যান দাবি করেছেন, প্রিগোশিনের মৃত্যু অবশ্যই পুতিনের নির্দেশে হয়েছে । সিআইএর মস্কো স্টেশনের সাবেক এই প্রধান বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই পুতিনের নির্দেশেই প্রিগোশিনের হত্যা করা হয়েছে।’
প্রিগোশিন গত জুন মাসে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি অসমাপ্ত বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এর দুই মাস পরেই মৃত্যু হলো প্রিগোশিনের।