গাজায় ধংসস্তূপে চাপা হাজারো মানুষ; হাসপাতালেও হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অক্টোবর ১৭, ২০২৩, ০৪:১২ পিএম

গাজায় ধংসস্তূপে চাপা হাজারো মানুষ; হাসপাতালেও হামলা

ছবি: রয়টার্স

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলা যে যুদ্ধের শুরু করেছিল, তার অংশ হিসেবে ইসরায়েল গাজাকে পরিণত করেছে ধ্বংসস্তূপে। এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৮০৮ ফিলিস্তিনির নাম উঠেছে মৃতের তালিকায়। আহত প্রায় ১১ হাজার। 

নিহতদের মধ্যে ৬৪ শতাংশই নারী ও শিশু। নিহতদের মধ্যে নারী ৯৩৬ জন ও শিশু ৮৫৩ জন। আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮৫০ জনে।

বিগত ২৪ ঘণ্টায় ২৫৪ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ৫৬২ জন।

ইসরায়েলি হামলায় গাজার বিভিন্ন হাসপাতালের অন্তত ৩৭ জন চিকিৎসাকর্মী মারা গেছেন। আহত হয়েছেন চিকিৎসক, প্যারামেডিক, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

গাজার বিধ্বস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের নিচে এক হাজারের বেশি নারী–পুরুষ–শিশু চাপা পড়ে আছে বলে জানিয়েছে শহরটির কর্তৃপক্ষ। ৩ হাজার ৭৩১টি আবাসিক ভবনের সাড়ে ১০ হাজার হাউজিং ইউনিট বিধ্বস্ত হয়েছে। এর বাইরে আরও প্রায় ১০ হাজার হাউজিং ইউনিট আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে এবং আরও ৭ হাজার ১০০ হাউজিং ইউনিট বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। 

গত রবিবার রাতভর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিস এলাকায় বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার বাসিন্দারা বলছেন, ওই রাতে সবচেয়ে নির্মম হামলা চালানো হয়েছে। খান ইউনিসের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে তাদের মধ্যে কাকে চিকিৎসা দেবেন, আর কাকে ফিরিয়ে দেবেন, তা নিয়ে অসহায় অবস্থায় চিকিৎসাকর্মীরা।

বিদ্যুৎ, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের চরম সংকটে গাজার হাসপাতালগুলোর অবস্থাও শোচনীয়। জাতিসংঘ জানিয়েছে, উত্তর গাজায় বোমায় বিধ্বস্ত চারটি হাসপাতাল আর চিকিৎসা দেওয়ার অবস্থায় নেই। 

অপর দিকে গাজার ২১টি হাসপাতাল ইসরায়েল বাহিনী খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি বলছে, গত ১০ দিনে গাজার ১১০টির বেশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার ইসরায়েল উত্তর গাজার বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপর উত্তর গাজার ১১ লাখ বাসিন্দার মধ্যে আনুমানিক ৫ লাখ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি জানায়, গাজায় তাদের পরিচালিত স্কুল ও ভবনগুলোয় ৪ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে।

Link copied!