যুদ্ধ বন্ধে ব্রাজিলের প্রস্তাবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভোট আজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অক্টোবর ১৮, ২০২৩, ১০:২৩ পিএম

যুদ্ধ বন্ধে ব্রাজিলের প্রস্তাবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভোট আজ

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চেয়ে ব্রাজিলের উত্থাপন করা প্রস্তাবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলো আজ বুধবার ভোট দেবে।

গাজা উপত্যকায় অবাধে মানবিক সহায়তা প্রবেশের জন্য এই প্রস্তাব আনা হয়েছে। যদিও এর আগে যুদ্ধবিরতি চেয়ে রাশিয়ার প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেছে।

কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, এই ভোটের পর সংযুক্ত আরব আমিরাত ও রাশিয়ার অনুরোধে গাজার হাসপাতালে বোমা হামলায় অন্তত ৫০০ জন নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়েও আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে গত সোমবারই ব্রাজিলের খসড়া প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দর-কষাকষির জন্য আরও ২৪ ঘণ্টা সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইসরায়েল সফরের জন্য এই আলোচনা ও ভোটের সময় আরও পেছানোর জন্য চাপ দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

গাজার হাসপাতালে ‘গণহত্যা’র জন্য ইসরায়েলি বাহিনীকে দায়ী করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের দূত রিয়াদ মনসুর। 

অন্যদিকে হামলার জন্য ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন ইসলামিক জিহাদকে দায়ী করেছেন জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান।

ইসরায়েলকে ঐতিহাসিকভাবে সমর্থন দিয়ে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে ভেটো বা প্রস্তাব আটকে দেওয়ার ক্ষমতা। খসড়ায় ইসরায়েলের নাম উল্লেখ না করে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের গাজার উপত্যকার দক্ষিণে চলে যাওয়ার আদেশ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, হামাসের হামলার পর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য স্থল অভিযান শুরুর প্রস্তুতিতে গাজার প্রায় ১১ লাখ অধিবাসীকে দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরায়েল।

এর আগে যুদ্ধবিরতি চেয়ে নিরাপত্তা পরিষদে খসড়া প্রস্তাব দিয়েছিল রাশিয়া। সেই প্রস্তাবে ইসরায়েলে হামলা করার জন্য হামাসের নিন্দা জানানো হয়নি।

প্রস্তাবটিও গত সোমবার নিরাপত্তা পরিষদে খারিজ হয়ে যায়। ব্রাজিলের প্রস্তাবটি রুশ খসড়ারই একটি বিশদ সংস্করণ। এখানে ইসরায়েলে হামলার জন্য হামাসের নিন্দা জানানো হয়েছে।

গতকাল সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের ভোটে রাশিয়ার প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে চারটি দেশ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রসহ চার দেশ প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। 

ভোটদানে বিরত ছিল আরও ছয় দেশ। এটি পাসের জন্য স্থায়ী-অস্থায়ী ১৫ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে অন্তত ৯ ভোট পাওয়া আবশ্যক ছিল।

Link copied!