গাজা টাস্ক ফোর্স প্রতিষ্ঠায় ইসরায়েলে ২০০ সেনা মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ১০, ২০২৫, ১২:৪৩ পিএম

গাজা টাস্ক ফোর্স প্রতিষ্ঠায় ইসরায়েলে ২০০ সেনা মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগৃহীত

গাজায় স্থিতিশীলতা আনার চেষ্টায় সহযোগিতা করতে একটি টাস্ক ফোর্স প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে সর্বোচ্চ ২০০ সেনা মোতায়েন করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক মার্কিন কর্মকর্তা।

তবে এই সেনাদের ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে পাঠানো হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটাই বলেছেন তারা।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডই ওই সিভিল-মিলিটারি কোঅর্ডিনেশন সেন্টার বা সিএমসিসি নামের টাস্ক ফোর্সটি চালু করবে, বলেছেন কর্মকর্তাদের একজন।

সিএমসিসির কাজ হবে নিরাপত্তা সহযোগিতা ও মানবিক ত্রাণ সহায়তাসহ গাজায় সব ধরনের সহায়তার প্রবাবে সাহায্য করা।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ইসরায়েলে থাকা মার্কিন সেনাদের কাজ হবে গাজা চুক্তির বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করা এবং মাঠে থাকা অন্য দেশের সেনাদের সঙ্গে সমন্বয় করা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিএমসিসির মূল শক্তি হবে মার্কিন সেনারাই তবে এতে মিশরের সেনাবাহিনী, কাতার, তুরস্ক এমনকী সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিরাও থাকতে পারে।

এই যৌথ সমন্বয় কেন্দ্র সংঘাত এড়াতে ইসরায়েলি সেনা ও অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে, বলেছে তারা।

“গাজায় কোনো মার্কিন সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা নেই,” বলেছেন একজন।

মোতায়েন করা মার্কিন সেনাদের পরিকল্পনা, নিরাপত্তা, লজিস্টিকস ও প্রকৌশলে দক্ষতা থাকবে, বলেছেন এক কর্মকর্তা।

মার্কিন কর্মকর্তাদের আশা, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে গাজা চুক্তি বাস্তবায়িত হওয়া শুরু হলে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি ক্রমেই শান্ত হয়ে আসবে এবং ইসরায়েলের সঙ্গে আরও বেশি আরব দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে আব্রাহাম চুক্তির অধীনে বাহরাইন, সংযু্ক্ত আরব আমিরাত, মরক্কো ও সুদান ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক চালু করেছিল।

গাজা পরিস্থিতি শান্ত হলে সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, মৌরিতানিয়া, আলজেরিয়া, সিরিয়া ও লেবাননও এই পথে হাঁটবে বলে অনেকে আশা করছেন।

Link copied!