আফগান-সীমান্তে দখল বাড়াচ্ছে তালেবান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুন ২৭, ২০২১, ১২:৫৫ এএম

আফগান-সীমান্তে দখল বাড়াচ্ছে তালেবান

আফগানিস্তানের উত্তরে একের পর এক এলাকা দখল নিচ্ছে তালেবান। তাজিকিস্তান সীমান্ত এলাকায় ক্ষমতা বাড়ানোর কয়েক দিনের মধ্যে সেখানে অবস্থিত শির খান বন্দরের দখল নিয়েছে তারা।

আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোর বাহিনী সরিয়ে আনার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই গতিময়তা পেয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তা শেষ হওয়ার কথা। তার মধ্যে আফগানিস্তানের এই পরিস্থিতি চিন্তা বাড়িয়েছে নিরাপত্তা বিষয়ক পর্যবেক্ষকদের।

আফগানিস্তানের প্রায় ৮১টি জেলা ইতিমধ্যেই তালেবানের দখলে চলে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন পেন্টাগনের এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। বিষয়টির দিকে তারা বিশেষ নজর রাখছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পেন্টাগন।

পর্যবেক্ষকদের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে এটা স্পষ্ট যে, তালেবান আগ্রাসনের সামনে রীতিমতো হার মেনেছে আফগান বাহিনী। তাজিকিস্তানের সঙ্গে দেশের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিপথ কুন্দুজ় শহর। যার দখল আগেই নিয়েছে তালেবান। সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে আশপাশের গ্রামীণ অঞ্চলেও। এ সব এলাকায় তাদের শক্তি এতটাই বেড়েছে যে প্রাণের দায়ে আফগান বাহিনীর অনেকেই সীমান্ত টপকে গা-ঢাকা দিয়েছেন বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।

বন্দর এলাকা দখলের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। সম্প্রতি তালিবান নেতৃত্ব এও জানায় যে, বন্দর এলাকাগুলির কাজকর্মে তারা কোনও রকমের বাধা সৃষ্টি করবে না। তবে তা তখনই সম্ভব যখন, আফগান বাহিনী তালেবানি শাসন মেনে নেবে। তালেবান-দমনে আফগান সরকারের অক্ষমতা ফের এক বার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে বিষয়টি, দাবি আন্তর্জাতিক মহলের।

কিছু কিছু জায়গায় প্রায় বিনা প্রতিরোধেই ঘাঁটি গেড়েছে তালেবান বাহিনী। যেমনটা হয়েছে উত্তর আফগানিস্তানের সীমান্ত জেলা ইমাম সাহিবে। এলাকা দখলের লক্ষ্যে টানা দু’দিন যুদ্ধ চলেছে সেখানে। প্রতি মুহূর্তে আতঙ্ক বাড়িয়েছে তালেবানের ছোড়া রকেট এবং স্বয়ংক্রিয় বন্দুকের আওয়াজ। পরিবেশ কিছুটা থিতু হতে বাইরে প্রথম পা রেখেই স্থানীয় বাসিন্দা সইদ আক্রম জানতে পারেন, সন্ত্রাসের বলি হয়েছে এলাকার তিন-তিনটি শিশু। দেখেন, রাস্তার মোড়ে তখনও জ্বলছে একটি ট্যাঙ্কার। পুড়ে ছাই বেশ কয়েকটি দোকান। আর রাস্তায় টহল দিচ্ছে তালিবান বাহিনী। আক্রমের কথায়, ‘‘সে কমপক্ষে ৩০০ জন তো হবেই! এলাকায় টহলদারি আফগান সেনার সংখ্যা শ’খানেকেরও কম ছিল। তাঁদের হটিয়ে এলাকার দখল নিতে বেগ পেতে হয়নি তালিবানের। রাস্তার দু’ধারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল একাধিক সেনার দেহ। তবে শুনলাম অনেকেই নাকি প্রাণ হাতে করে পালিয়ে গিয়েছেন।’’

Link copied!