বছর ধরে চলছে ইউক্রেন যুদ্ধ। কোনো পক্ষেরই জয় নেই। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেনসহ গোটা বিশ্বই। এ অবস্থায় ইউক্রেনে যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানাল চীন। শুক্রবার চীন এ আহ্বান জানায়। এমনকি যুদ্ধ বন্ধে চীন ১২টি প্রস্তাব তুলে ধরে। তবে চীন মনে করে, ইউক্রেন সরকারের মিত্র দেশগুলো তুলে ধরা এ ১২টি প্রস্তাবসহ যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত না হতে পারে।
চীন বলছে, সকল পক্ষের উচিত রাশিয়া এবং ইউক্রেনকে যত দ্রুত সম্ভব সংলাপে বসানোর ব্যবস্থা করা। যাতে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতির দিকে যায়। একই সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো হবে প্রধান লক্ষ্য।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া তার দেশের সীমানা ছেড়ে না দেওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে। আর এই মুহূর্তে যুদ্ধ বন্ধের কোনও লক্ষণ মস্কোর আচরণে দেখা যাচ্ছে না। শত্রুতা অবসান, পারমাণবিক কেন্দ্র রক্ষা, শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করা এবং একতরফা নিষেধাজ্ঞা দূর করার আহ্বান জানায় চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে তা যুক্তরাষ্ট্র ক্রমাগত প্রত্যাখ্যান করছে বলে দাবি চীনের।
প্রকৃত পক্ষে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ হোক এমন কোনো কার্যক্রম চীনও দেখাচ্ছে না। বরং গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব তোলা হয়। সেখানে ১৪৭টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে রায় দিলেও ৭টি দেশ বিপক্ষে রায় দেয়। আর ৩২টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল। তার মধ্যে চীন অন্যতম। তাই যুদ্ধে বন্ধে চীন নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করবে সেই সম্ভাবনা নাকোচ করে দিয়েছে কিয়েভ এবং তার মিত্র দেশগুলো।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রথম দেশ হিসেবে ইউক্রেনে লেপার্ড ট্যাঙ্ক পাঠিয়েছে পোল্যান্ড। শুক্রবার ট্যাঙ্ক পাঠানোর কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা।
গত জানুয়ারিতে জার্মানির তৈরি ১৪টি লেপার্ড-২ ট্যাংক ও অতিরিক্ত ৬০টি ট্যাংক পাঠানোর ঘোষণা দেয় পোল্যান্ড। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি কানাডিয়ান এক টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সে সময় এ তথ্য জানান।
রয়টার্স