নেপালের কাঠমান্ডু বিমান বন্দর থেকে ওড়ার কিছু সময় পরেই দুবাইগামী একটি বিমানে আগুন লাগার দুর্ঘটনা ঘটেছে। দেড়শত যাত্রী নিয়ে বিমানটিকে পাইলট প্রথম দিকে কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় পরে বিমানটি দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। বিমানে ১৫০ জন যাত্রীর মধ্যে ৫০ জন নেপালি ছিল বলে জানা গেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফ্লাই দুবাইয়ের
ফ্লাইট নম্বর ৫৭৬ (বোয়িং ৭৩৭-৮০০) ফ্লাইটটি নেপালের ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যা যাত্রা শুরু করে। যাত্রা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানে আগুন লাগে। ইঞ্জিনের সমস্য শুরু হলে বিমানটি আকাশের ওপর ঘোরাফেরা করে এবং পাইলট বিষয়টি বিমানবন্দর কন্ট্রোল টাওয়ারকে বিস্তারিত জানায়। পরে অবশ্য ত্রুটি খুঁজে বের করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা থেকে যাত্রীরা রক্ষা পায়। পাইলট পরে বিমা্নটি উড়িয়ে নিয়ে দুবাই পৌঁছে যান।
নেপালের বেসরকারি বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়,স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমান টেক অফ করে। নেপালের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী সুদান কিরাতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে জানিয়েছেন, দুবাইগামী ফ্লাইদুবাই ফ্লাইটটি নিরাপদে গন্তব্যে উড়ে গেছে। পাশাপাশি এই বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
নেপালে প্রায়ই বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ATR 72 বিমানটি কাঠমাণ্ড থেকে পোখরা যাওয়ার সময়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ওই বিমান দুর্ঘটনায় ৭২ জন আরোহী প্রাণ হারায়। নিহতের সংখ্যার দিক থেকে এই বিমান দুর্ঘটনা গত ত্রিশ বছরের মধ্যে নেপালের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা৷ এর আগে ২০১৮ সালের মার্চে বাংলাদেশের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের একটি বিমান কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত হলে মোট ৭১ জন আরোহীর ৫১ জনের মৃত্যু হয়।