জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ ম্যাকরণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুন ২০, ২০২২, ০৫:৪১ পিএম

জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ ম্যাকরণ

ফ্রান্সের নিম্নকক্ষ হিসেবে পরিচিত জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরণের জোট এনসেম্বেল। গত ২৪ এপ্রিল রানঅফের মাধ্যমে ন্যাশনাল র‌্যালী পার্টির নেতা মেরিন লি পেনকে হারিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ম্যাকরণ। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় আগামী ৫ বছর ম্যাকরণকে বোঝাপড়া এবং সমঝোতার লড়াই করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাংবিধানিক আইন বিষয়ে দেশটির প্রখ্যাত অধ্যাপক ডমিনিক রুশো। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বর্ন বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর এ বিষয়টি উদ্বেগজনক। তবে ভবিষ্যতে আবারও ম্যাকরণের দল লা মার্শ পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পুনরুদ্ধারে কাজ শুরু করেছে।    

নিয়মানুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর আগামী ৫ বছরের জন্য মেম্বার অব পার্লামেন্ট (এমপি) নির্বাচন করা হয় জাতীয় পরিষদের এ ভোটের মাধ্যমে। ১২ জুন জাতীয় পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে ৫৭৭ আসনের বিপরিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৬ হাজারেরও বেশি প্রার্থী। যেসব প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট পেতে ব্যর্থ হন তারা দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থী হতে পারেন না। যোগ্যদের নিয়ে ১৯ জুন রবিবার দ্বিতীয় ধাপের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপেও জাতীয় পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় বলা চলে বিরোধীদের সাথে তাল মিলিয়েই দেশ চালাতে হবে ম্যাকরণকে।    

রবিবারের দ্বিতীয় ধাপে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে জাতীয় পরিষদের ৫৭৭টি আসনের মধ্যে ২৮৯টি আসনের প্রয়োজন ছিলো ম্যাকরণের জোটের। তবে জোটগত ভাবে ২৪৫টি আসন পাওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় তারা। বামপন্থী জিয়ন লাক মিলেনচনের কোয়ালিশন দ্য নিউ ইকোলজিক এন্ড সোশ্যাল পিপলস ইউনিয়ন-নুপস ১৩১টি আসন এবং ডানপন্থী মেরিন লি পেনের ন্যাশনাল র‌্যালী পার্টি পেয়েছে ৮৯টি আসন।

২৪ এপ্রিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ধাপে ৭২ শতাংশ ভোট পড়ে। ম্যাকরণ ৫৮. ৫ শতাংশ এবং লি পেন ৪১.৫ শতাংশ ভোট পান। এর আগে ২০১৭ সালেও লি পেনকে হারিয়ে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ম্যাকরণ।

 

Link copied!