ন্যাটোভুক্ত হলেই ইউক্রেনে হামলা চালানো হবে: পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২২, ০৫:০২ পিএম

ন্যাটোভুক্ত হলেই ইউক্রেনে হামলা চালানো হবে: পুতিন

দাবি মানা না হলে, ইউক্রেনে হামলার ইঙ্গিত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনকে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের ৩০টি সদস্য দেশের সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য না করতে বলছে রাশিয়া। মস্কোর ধারণা, ৮ বছর আগে দখল হারানো ক্রিমিয়াকে ফিরে পেতে ন্যাটোর সঙ্গে যুক্ত হয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে  পারে ইউক্রেন।

সম্প্রতি ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করতে পশ্চিমাদের তোড়জোড় শুরুর পরই রুশ সীমান্তের সাথের দেশ ইউক্রেনের নাকের ডগায় ১ লাখ সেনা মজুদ করে রাশিয়া।

চলমান অবস্থায় উত্তেজনা কমাতে মস্কো সফরে গিয়েছেন ফ্রান্স প্রেসিডেন্টে এ্যামুনেল ম্যাকরন। ৫ ঘন্টার দীর্ঘ ডিনারে ম্যাকরন পুতিনকে অনুরোধ করেছেন, যুদ্ধে না জড়াতে। যদিও এখনই হামলার কোন পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন পুতিন। মস্কো সফর শেষে ইউক্রেন সফরে যাবেন ম্যাকরন। এরপর ম্যাকরণের সঙ্গে আবারো আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন পুতিন। চলমান অবস্থার মধ্যেই চলতি মাসে রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।  

ইউক্রেন সীমান্তের কাছে রুশ সেনা মোতায়েনের পর থেকেই উদ্বিগ্ন পশ্চিমারা। তারা বলেছে, একটি পূর্ণাঙ্গ হামলায় প্রয়োজনীয় প্রায় ৭০শতাংশ সেনা ও রসদ জমানো মোটেও স্বস্বিকর খবর নয়। সেনা না সরালে রাশিয়া থেকে জার্মানি পর‌্যন্ত বিস্তৃত একটি গ্যাস পাইপলাইন বন্ধ করার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ স্কুলজের সঙ্গে একটি বৈঠক শেষে বাইডেন এ হুমকি দিয়েছেন। পশ্চিমারা রাশিয়ার উপর অবরোধ আরোপ করলে সমর্থন করবেন বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়া এলাকায় ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ার ফোর্স এবং রয়াল নেভির যোদ্ধা পাঠানোর ইঙ্গিতও দিয়েছে ব্রিটেন।  ৩ দিক দিয়ে রুশ রুশ সেনায় ঘিরে থাকা দক্ষিণ-র্পূব ইউক্রেনের ডোনবাস শহরে এ হামলা হতে পারে বলে আশংকা পশ্চিমাদের।   

রুশ সেনা বাড়ানোর পর র্জামান, পোল্যান্ড এবং রোমানিয়ায় ৩ হাজার সেনা পাঠিয়েছে পেন্টাগণ। প্রয়োজনে ন্যাটোকে সহায়তা করতে আরও সাড়ে ৮ হাজার সেনা পাঠাতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।

মস্কো জানিয়েছে, নিয়মিত অনুশীলন করতেই রুশ সেনারা সীমান্তর্বতী এলাকায় জড়ো হয়েছেন। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারী ও মার্চে অভিযান চালিয়ে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়াকে আলাদা করে নিজেদের দখলে নেয় রাশিয়া।

 

Link copied!