অব্যাহত বিক্ষোভের মুখে অবশেষে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোর করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এখন থেকে ২১ বছরের নিচে কেউ অস্ত্র কিনতে গেলে তাদের কঠোরভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে, যারা অস্ত্র কিনছেন, তাদের সামগ্রিক তথ্য একটি জাতীয় তথ্যপুঞ্জিতে সংরক্ষিত থাকবে এবং অবৈধ অস্ত্র বিক্রিতে কড়াকড়ি আনা হবে। প্রস্তাবগুলো লিপিবদ্ধ করে সোমবারের মধ্যে একটি খসড়া প্রস্তত করার কথা।
এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব মার্কিন সিনেটের ক্রস গ্রুপ হিসেবে খ্যাত সর্বদলীয় দলের সমর্থন পেয়েছে। সর্বদলীয় ওই গ্রুপের যে ২০ জন অস্ত্র আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছেন তাদের মধ্যে ১০ জন রিপাবলিকান রয়েছেন। মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১০০। যার মধ্যে ৫০ জন ডেমোক্রেট এবং ৫০ জন রিপাবলিকান। কোন প্রস্তাব আইনে পরিণত করতে হলে অন্তত ৬০ জন সিনেট সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন।
সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ট নেতা ডেমোক্রেট চাক শুমার জানিয়েছেন, আইনে পরিণত করতে শিগগিরিই তিনি বিলটি সিনেটে উত্থাপন করবেন। সিনেটের সংখ্যাগুরু নেতা রিপাবলিকান মিচ মেককোনেল জানিয়েছেন, এ ধরণের একটি প্রস্তাবে ঐক্যমত্য নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। দলমত নির্বিশেষে মার্কিনীদের স্বার্থেই প্রস্তাবগুলো আইনে পরিণত করতে হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রস্তাবগুলোকে স্বাগত জানিয়েছেন। এর সঙ্গে তিনিও কিছু প্রস্তাব যুক্ত করেছেন, যার মধ্যে নিউইয়র্ক এবং টেক্সাসের সাম্প্রতিক হামলার সময় যে ধরণের উচ্চ ক্ষমতার রাইফেল ব্যবহার করা হয়েছিলো, ওই ধরণের রাইফেল বিক্রি নিষিদ্ধ করতে বলেছেন। আর যদি সম্ভব না হয়, তবে এ ধরণের অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে বয়সসীমা বাড়ানোর কথা বলেছেন। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রস্তাবে ঐক্যমত্যের খবরকে স্বাগত জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
যদিও ন্যাশনাল রাইফেল এসোসিয়েশন অব আমেরিকা(এনআরএ) জানিয়েছে, খসড়া প্রস্তাবটি হাতে পেলে প্রস্তাব সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান জানাবে। তবে মার্কিনীদের আত্মরক্ষার অধিকারের বিপক্ষে যায় এমন কোন আইনে তারা সমর্থন দেবে না। এর আগেও একবার অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোর করার প্রস্তাব সিনেটে ওঠে। তবে প্রয়োজনীয় সমর্থন না পাওয়ায় বিলটি বাতিল হয়ে যায়।