ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩, ০৯:২২ পিএম
তুরস্কে আঘাত হানা শক্তিশালী ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনগুলোর নির্মাণকাজ নিয়ে ওঠা প্রশ্নের মুখে তদন্ত শুরু করছে দেশটির সরকার।পাশাপাশি বিল্ডিংকোড না মেনে তৈরি করায় ভবনগুলো ভেঙে পড়ার জন্য সন্দেহভাজন ১১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
দেশটির আইন মন্ত্রণালয় ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত এলাকায় ভূমিকম্প অপরাধ তদন্ত ব্যুরো গঠন করেছে। এই ব্যুরোর কাজ হচ্ছে, ভবন ধসে পড়ে মানুষ হতাহতের ঘটনা তদন্ত করে শাস্তির সুপারিশ করা।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ভবনগুলোর ঠিকাদারদেরসহ অন্তত ১২ জনকে এরই মধ্যে কাস্টডিতে নিয়েছে তুর্কি পুলিশ। আরও অনেক ঠিকাদার গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সময় রবিবার রাজধানী আঙ্কারায় তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতে সাংবাদিকদের বলেন, “ভূমিকম্পের শিকার ১০টি প্রদেশে হাজারো ভবন ভেঙে পড়ায় দায়ী সন্দেহে এখন পর্যন্ত ১৩১ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের সবার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।”
তুর্কি ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, “যে ভবনগুলো প্রচুর ক্ষতির শিকার হয়েছে এবং ভেঙে পড়ে মানুষ হতাহত হয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে আমরা প্রয়োজনীয় বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রাখবো।”
বছরের পর বছর ধরে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে আসছিলেন যে, সরকারি নীতি এবং দুর্নীতির কারণে তুরস্কে বানানো নতুন ভবনগুলো নিরাপদ নয়।
ভূমিকম্পে হাজার হাজার ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। এতে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, মানুষের ভবন বানানোর ত্রুটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বাড়ি দিয়েছে কিনা।
সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে দুই দেশ মিলে ২৮ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। এইভূমিকম্প তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের ভবিষ্যতের জন্য বিপদ হয়ে এসেছে। সামনে মাসেই দেশটিতে নির্বাচন। টানা ২০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর আসন্ন এই নির্বাচনে এরদোয়ানের পুনরায় ক্ষমতায় আসীন হওয়া ঝুঁকিতে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।