সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২, ০৫:৩৭ পিএম
প্রথমে দিল্লি বিমানবন্দরে গিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা না জানানো এবং পরে রাষ্ট্রপতি ভবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছবি তোলার জন্য মাস্ক খুলতে বলা- দু'টি পদক্ষেপের কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো 'ট্রেন্ডিং' দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ বিতর্কের মূলে গতকাল বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ৩২ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো, যেখানে দেখা যাচ্ছে নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি৷
হাসিনার সঙ্গে করমর্দনের পরে 'ফোটো অপ'-র কারণে হাসিনাকে মাস্ক খোলার অনুরোধ করছেন মোদি৷ নেটিজেনদের একাংশের দাবি, মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ভবনের ফোরকোর্টে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানানোর পরে 'ফোটো অপ' করার জন্য যে ভাবে হাসিনাকে মুখের মাস্ক খুলে ফেলার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, তা একেবারেই উচিত হয়নি৷
দেশ থেকে করোনা এখনও দূর হয়নি৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিদিনই সতর্ক করছে৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেবে মঙ্গলবার সারা দেশে ৫৩৬৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের৷ এই আবহে প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজে মাস্ক ব্যবহার করছেন না, সেটা তাঁর নিজস্ব সিদ্ধান্ত৷ এখানেই নেটিজেনদের একাংশের প্রশ্ন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি করোনা প্রতিরোধক সতর্কতা অবলম্বন করে মুখে সর্বক্ষণ মাস্ক রাখতে চান, তা হলে মোদীর আপত্তি কেন? কেন তিনি বিদেশি রাষ্ট্রনায়ককে সামান্য 'ফোটো-অপ'-এর কারণ দেখিয়ে মাস্ক খোলার অনুরোধ জানালেন? তাত্পর্যপূর্ণ হল, সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি অনুরোধে মাস্ক খুলে ফেললেও ভারত সফরের অধিকাংশ সময়ে মাস্ক পরেই বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন হাসিনা৷ শিল্পপতি গৌতম আদানি এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বৈঠক করার সময়েও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখে মাস্ক ছিল৷
মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছিল, দিল্লি বিমানবন্দরে হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানাতে না গিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কোনও 'অসম্মান' প্রদর্শন করেননি প্রধানমন্ত্রী মোদী৷ এই প্রসঙ্গেই বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াত্রা জানান, হাসিনার সফরকে আগেই রাষ্ট্রীয় সফরের মর্যাদা দিয়েছে নয়াদিল্লি, এই মর্মে ভারত সরকারের তরফে সরকারি প্রোটোকল মেনেই সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে৷ সরকারি প্রোটোকল প্রসঙ্গে এত কিছু বললেও মাস্ক বিতর্কে মুখে কুলুপ এঁটেছে নয়াদিল্লি৷ সূত্র: এইসময়