সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১, ০৩:৩৪ পিএম
আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন মোল্লা হাসান আখুন্দ। অপেক্ষাকৃত স্বল্প পরিচিত এই তালেবান নেতা দীর্ঘদিন ধরেই দলটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকায় থাকা এই নেতা এর আগের তালেবান শাসনামলেও মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার এবং মোল্লা আব্দুস সালাম হাসান আখুন্দের ডেপুটি হিসেবে কাজ করতে পারেন। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীতের এনডিটিভি।
মোল্লা হাসান আখুন্দকে ইতোমধ্যেই তালবান সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এমন সংবাদ দিয়ে ভারতের আরেকটি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ‘তালেবানের সুপ্রিম লিডার হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা তাদের নতুন সরকার প্রধান হিসেবে মোল্লা হাসান আখুন্দকে মনোনয়ন দিয়েছে’। একই রকম সংবাদ প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের জিও নিউজ।
টাইমস অব ইন্ডিয়া তালেবানের এক ঊর্ধ্বতন নেতার বরাতে জানিয়েছে, ‘আমিরুল মুমিনিন হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা নিজেই রইস-ই-জামহুর বা রইস-উল-ওয়াজারা অর্থাৎ, আফগানিস্তানের নতুন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে প্রস্তাব করেছেন’। সংবাদমাধ্যমটি আরো জানিয়েছে, মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার এবং মোল্লা আব্দুস সালাম হাসান আখুন্দের ডেপুটি হিসেবে কাজ করবেন।
নতুন সরকার গঠন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র এই ইঙ্গিত দিয়ে তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, সকল গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে গৃহীত হয়েছে। কিছু টেকনিক্যাল বিষয় বাকী রয়ে গেছে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আফগানিস্তানে ইরানী ধাঁচে সরকার গঠন করতে পারে তালেবান। সেক্ষেত্রে তালেবান শীর্ষ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা হবেন আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে কোনও কিছুই নিশ্চিত নয়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৫ আগস্ট কাবুলের দখলের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। তাদলেবান কাবুলে প্রবেশের আগেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণি। তারপর কাবুল দখলের পর প্রায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো সরকার গঠন করতে পারেনি। তবে ইতোমধ্যে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে গোষ্ঠীটি। তারা তাদের সরকার গঠন অনুষ্ঠানে তুরস্ক, চীন, রাশিয়া, ইরান, পাকিস্তান ও কাতারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।