যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র আইন কঠোর করতে অনুরোধ বাইডেনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুন ৪, ২০২২, ০৩:০৮ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র আইন কঠোর করতে অনুরোধ বাইডেনের
সম্প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মার্কেট, গির্জায়সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি বন্দুক হামলার ঘটনায় দেশজুড়ে শুরু হওয়া সমালোচনার ঝড়ে বাইডেন প্রশাসন বেশ নড়ে চড়ে বসেছে। একের পর এক প্রাণহানীর ঘটনায় জাতির সামনে ভাষণ দিতে এসে অস্ত্র আইন আরও কঠোর করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পাশপাশি অস্ত্র আইন কড়াকড়িতে ব্যর্থতার জন্য কংগ্রেসকে দায়ি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, সামরিক ধাঁচের অ্যাসল্ট-রাইফেল এবং হাই ক্যাপাসিটি ম্যাগাজিন রাখা নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতার সম্পর্কে প্রয়োজনীয় নথি যাচাই-বাছাই করা উচিত।
তিনি বলেন, “অ্যাসল্ট-রাইফেল নিষিদ্ধ করা না গেলে অস্ত্র যারা কিনছে তাদের বয়সসীমা অন্তত ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করা উচিত।” এখনই পদক্ষেপ নেয়ার সময় মন্তব্য করে জো বাইাডেন আরও বলেন, “টেক্সাস, নিউইয়র্ক, ওকলাহোমায় হামলা, গুলিতে মানুষের প্রাণ গেল। আরও কত জীবন নষ্ট হবে? আমরা আর কত হত্যাকাণ্ড মেনে নেবো? আমি আর সহ্য করতে পারছি না। যথেষ্ট হয়েছে। এবার এসব বন্ধ করুন।”
যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সাসের একটি স্কুলে গত সপ্তাহেই প্রাণঘাতী বন্দুক হামলায় ১৯ শিশুসহ অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া, নিউ ইয়র্ক এর বাফেলো শহর এবং ওকলাহোমার তুলসায়ও গত কয়েকদিনে এমন গুলির ঘটনা ঘটেছে। আগেও এ ধরনের গুলির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র আইনে কোনও বদল আসেনি। তৈরি হয়নি অর্থবহ কোনও আইন। তাই প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবার কিছু করার জন্য কংগ্রেসকে তাগাদা দিয়েছেন।
কংগ্রেসে কোনো আইন পাস হতে গেলে সেনেটে রিপাবলিকানদের সমর্থন লাগবে। কারণ, রিপাবলিকানরা প্রতিটি মার্কিন নগাগরিকের জন্যই অস্ত্র রাখাটা সাংবিধানিক অধিকার বলে মনে করে। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস এবং বাফেলোতে বন্দুক হামলার পর, অস্ত্র আইন নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রথমবার এতটা সুনির্দিষ্টভাবে আবেদন জানালেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
অস্ত্র আইনের বিরোধীতাকারী রাজনীতিবিদদের প্রত্যাখ্যান করতে ভোটারদের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি। রিপাবলিকানদের কেউ কেউ কঠোর আইন করে বন্দুক নিয়ন্ত্রণের পক্ষে থাকলেও তারা নির্বাচনে তাদের এই সমর্থনের কি প্রভাব পড়বে তা নিয়ে শঙ্কিত থাকেন বলে জানিয়েছেন এক বিশ্লেষক।
Link copied!