এবার হাইপারসনিক জিরকন মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালালো রাশিয়া। ইউক্রেনের সাথে চলমান সংঘর্ষের মাঝেই শনিবার এক হাজার কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রটির সফল পরীক্ষা চালায় পুতিন প্রশাসন। শনিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইসরায়েলভিত্তিক জেরুজালেম েপোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বারেন্টস সাগরে একটি জাহাজ থেকে ছোঁড়া হয় মিসাইলটি। লক্ষ্য ছিল শ্বেত সাগর। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশ করেছে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ভিডিও। জিরকন মিসাইল ব্যবস্থাকে নতুন প্রজন্মের অস্ত্র বলে আখ্যা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ক্ষেপণাস্ত্র অপ্রতিরোধ্য বলেও দাবি করেন তিনি।
জেরুজালেম পোস্ট তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশ্বকে নিজেদের শক্তির জানান দিতে ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে নিজেদের দক্ষতা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য উচ্চ প্রযুক্তির এ অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, গতমাসে রাশিয়া সারমাট নামে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। যেটি পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম। যার মাধ্যমে রাশিয়ার ভূমি থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আঘাত হানা সম্ভব।
প্রসঙ্গত, উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করা নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় মস্কো-কিয়েভের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো।
তবে ওই কৌশল কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। এর দুদিন পর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে।