সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দ্রোহিতাসহ চারটি অভিযোগ আনার সুপারিশ করেছে মার্কিন কংগ্রেসের একটি তদন্ত কমিটি। অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে তার ৪০ বছরের জেল হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় চারটি অভিযোগ ওঠে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।
সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনার সুপারিশ করেছেন ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ওই হামলার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি।
সংবাদমাধ্যমগুলো প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যদি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগে বিচার করা হয় ও সেগুলো প্রমাণিত হলে তার ৪০ বছরের জেল হতে পারে। এতে করে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না তিনি।
তদন্ত কমিটি ক্যাপিটল হিলের ঘটনায় ট্রাম্পের সম্পৃক্ততা ও উস্কানি নিয়ে দীর্ঘ ১৮ মাস তদন্ত করেছে। এরপর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ আনার সুপারিশ করেন তারা।
সুপারিশগুলো হচ্ছে— দ্রোহিতায় উস্কানি ও সহযোগিতা করা, সরকারি কাজে বাধা, যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতারিত করার চক্রান্ত ও মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা।
ট্রাম্প বারবার নিজের বিরুদ্ধ আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বরং দাবি করেছেন, ভোট জালিয়াতির কারণে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরেছেন তিনি। এ ছাড়া কমিটির কাজের সমালোচনা করেছেন এবং এর সদস্যদের ‘রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত’ বলে অভিহিত করেন।
সোমবার ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটদের শিকারে পরিণত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, আবার হোয়াইট হাউসের জন্য তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, এটা তারা (ডেমোক্রেট) চান না। কারণ তিনি জয়ী হবেন।
তিনি ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লেখেন, জনগণ বুঝতে পেরেছে— ডেমোক্রেটিক ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (ডিবিআই) আমাকে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দিচ্ছে। কারণ তারা জানে আমি জিতব এবং আমার বিরুদ্ধে মামলা করার এই পুরো বিষয়টি অভিশংসন করার মতোই ছিল। এটি আমাকে ও রিপাবলিকান পার্টিকে দমিয়ে দেওয়ার জন্য একটি পক্ষপাতমূলক প্রচেষ্টা।
বিচার বিভাগ কিংবা বিশেষ পরামর্শদাতা জ্যাক স্মিথ অভিযোগ গ্রহণ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়।