বনজ কুমারের মামলায় এসপি বাবুলকে অব্যাহতি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ২৫, ২০২৩, ০২:০৪ পিএম

বনজ কুমারের মামলায় এসপি বাবুলকে অব্যাহতি

সংগৃহীত ছবি

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় অব্যাহতি পেয়েছেন পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার ও তাঁর বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া।

মঙ্গলবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এই আদেশ দেন।

অন্যদিকে এই মামলার আসামি সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন ও বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়েছে। 

একই সঙ্গে আদালত আগামী ৩১ আগস্ট দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য করেছেন। আজ অভিযোগ পত্রের গ্রহণযোগ্যতা শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। গ্রহণ যোগ্যতা শুনানির পর ট্রাইব্যুনাল এসব আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি নজরুল ইসলাম শামীম জানান, শুনানির সময় জামিনে থাকা বাবুলের বাবা ও ভাই আদালতে হাজির ছিলেন। বাবুল আক্তার কারাগারে রয়েছেন। তবে অব্যাহতি পেলেও চট্টগ্রামে মিতু হত্যা মামলায় আসামি হওয়ায় তিনি মুক্তি পাবেন না। মামলার অপর আসামি সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন পলাতক রয়েছেন।

এর আগে গত ৯ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তবে বিশেষ ক্ষমতা আইনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।

বাদী বনজ কুমার এজাহারে উল্লেখ করেন, তাঁর নেতৃত্বাধীন তদন্ত সংস্থা পিবিআই দেশের চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলা তদন্তাধীন থাকাকালে প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের নাম বেরিয়ে এলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু মিতু হত্যার মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে নিতে ও পুলিশ-পিবিআইয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য জেলে থাকা বাবুল আক্তার এবং অপর আসামিরা দেশ-বিদেশে অবস্থান করে অপরাধমূলক বিভিন্ন অপকৌশল এবং ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তার ও অন্যান্য আসামিদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্ররোচনায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন তাঁর ইউটিউবে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে একটি ভিডিও আপলোড করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে ইলিয়াস হোসেন ভিডিওতে প্রচারিত বক্তব্যে দেশের ভাবমূর্তি, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উসকানি, বাংলাদেশ পুলিশ, পিবিআই ও বিশেষ করে বাদীর (বনজ কুমার মজুমদার) মান-সম্মান ক্ষুণ্ন করার জন্য বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছেন। যা দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করেছে।

এজাহারে ওই ভিডিওর বিভিন্ন অভিযোগ খণ্ডন করে বলা হয়, ইলিয়াস তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করা, রাষ্ট্রের হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা-বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস করেছেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, শুধুমাত্র মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারকাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বাবুলের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু, তাঁর বাবা আসামি আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও আসামি বাবুল আক্তারের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্ররোচনায় সাংবাদিক ইলিয়াস মিথ্যা-বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্যের ভিডিও ফেসবুক-ইউটিউবে দেন।

Link copied!