জুলাই ৩১, ২০২৩, ০৮:৩৫ পিএম
ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে গিয়ে গ্রেপ্তার হলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২৪ জন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩৪ শিক্ষার্থী। ‘সরকারের বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্র ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার আশঙ্কা’য় তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পুলিশ বাদী হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে। মামলার বাদী হয়েছেন তাহিরপুর থানার উপপরিদর্শক মো. রাশেদুল কবির।
পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সাথে যুক্ত। তাঁরা হাওরে বেড়ানোর কথা বলে ‘গোপন বৈঠক ও সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র’ করতে এসেছেন। এছাড়াও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত ও মানুষের জানমালের ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্য ছিল বলে পুলিশ দাবি করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে তাহিরপুর উপজেলায় যান এই শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে একটি হাউসবোট নিয়ে তাঁরা টাঙ্গুয়ার হাওরে যান। দিনভর হাওরে ঘুরে বিকেলে হাওরের উত্তর পাড়ে সীমান্তবর্তী টেকেরঘাট এলাকায় যাওয়ার পথে দুটি স্পিডবোটে গিয়ে পুলিশ তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ঢাকা থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরে আসা বুয়েটসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩৪ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার ও তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু সাঈদ বলেন, পুলিশ সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের ২৪ জনই বুয়েটের। অন্যরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- বুয়েটের শিক্ষার্থী আফিফ আনোয়ার, বখতিয়ার নাফিস, মো. সাইখ, ইসমাইল ইবনে আজাদ, সাব্বির আহম্মেদ, তাজিমুর রাফি, মো. সাদ আদনান, মো. শামীম আল রাজি, মো. আবদুলাহ আল মুকিত, মো. জায়িম সরকার, হাইছাম বিন মাহবুব, মাহমুদুর হাসান, খালিদ আম্মার, মো. ফাহাদুল ইসলাম, তানভির আরাফাত, এ টি এম আবরার মুহতাদী, মো. ফয়সাল হাবিব, আনোয়ারুল্লাহ সিদ্দিকী, আলী আম্মার মৌয়াজ, মো. রাশেদ রায়হান, সাকিব শাহরিয়ার, ফায়েজ উস সোয়াইব, আবদুর রাফি ও মাঈন উদ্দিন। অন্যরা হলেন আবদুল বারি, মো. বাকি বিল্লাহ, মাহাদি হাসান, টি এম তানভির হোসেন, আশ্রাফ আলী, মো. মাহমুদ হাসান, মো. এহসানুল হকন, রাইয়ান আহম্মেদ, তানিমুল ইসলাম ও মো. আবদুল্লাহ মিয়া।