বাবা হত্যার বিচার চাই: ডরিন

জাতীয় ডেস্ক

মে ২২, ২০২৪, ০৯:০৭ এএম

বাবা হত্যার বিচার চাই: ডরিন

ছবি: সংগৃহীত

বাবার হত্যার বিচার চান ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। বুধবার (২২মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ের সামনে তিনি এ কথা বলেন।

ডরিন বলেন, “আমার বাবার হত্যার বিচার চাই। বাবাকে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি দেখতে চাই। আমি কাউকে সন্দেহ করছি না। আমি জানিনা কারা আমার বাবাকে হত্যা করেছে। ডিবির কাছে বলেছি, আপনারা অনুসন্ধান করুন।”

এক সপ্তাহ নিখোঁজ থাকার পর সামনে আসে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের খণ্ডবিখণ্ড মরদেহ। গ্রেপ্তারকৃত একজন ক্যাবচালক এমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

১৩ মে ক্যাব গাড়িটিতে তোলা আরোহীকে “হত্যার পর কেটে টুকরো টুকরো করে লাশ ছড়িয়ে” দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে গ্রেপ্তারকৃত ক্যাব চালকটি –কলকাতা বিধান নগর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মানব শ্রিংলা, বিবিসি বাংলাকে এমনটা বললেও প্রাথমিক উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

কলকাতার নিউ টাউনস্থ সঞ্জিবা টাউনের একটি‘ফ্ল্যাটে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সেটি পুলিশ ঘিরে রেখেছে। সেখানে এখনও কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না,’পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে লিখেছে বিবিসি বাংলা।

সিসিটিভির ফুটেজে ফ্ল্যাটটিতে একজন মহিলাসহ তিনজন ভেতরে ঢুকলেও কাউকে বের হতে দেখা যায়নি। ওই ফ্ল্যাটে সংসদ সদস্যের মরদেহ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আনোয়ারুল আজিমের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন সকালে কলকাতায় ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বলে নিশ্চিত করেছে কলকাতায় বাংলাদেশের হাইকমিশন।

এর আগে, রোববার (১২ মে) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে দর্শনা-গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওই দিন সন্ধ্যায় কলকাতার ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকার বরাহনগর থানার মন্ডলপাড়া লেনের স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে পৌঁছান। পরদিন দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে ওই বাড়ি থেকে হেঁটে বিধানপার্ক কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে তাকে গাড়িতে উঠতে দেখেন গোপাল বিশ্বাসের পরিচিত শুভজিৎ মান্না। ওই রাতেই গোপাল বিশ্বাসের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মেসেজ করেন এমপি আনার। মেসেজে তিনি লিখেছেন “রাতে ফিরছেন না, দিল্লি যাচ্ছেন। এ সময় যাতে তাকে আর ফোন না করা হয়। দিল্লি পৌঁছে তিনি নিজেই ফোন করবেন।” 

তিন দিন পর বুধবার (১৫ মে) সকাল সোয়া ১১টায় গোপাল বিশ্বাসকে শেষ মেসেজে করেন এমপি আনার। আনার জানান, তিনি দিল্লি পৌঁছে গেছেন। তার সঙ্গে ভিআইপিরা আছেন। 

উল্লেখ্য, শনিবার (১৮ মে) ভারতের বরাহনগর থানায় লিখিত মিসিং ডায়েরিতে এসব তথ্য উল্লেখ করেন এমপি আনারের বন্ধু গোপাল বিশ্বাস।

Link copied!