বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়লেন কুষ্টিয়ার মুসল্লিরা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ২২, ২০২৪, ০৩:০৫ পিএম

বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়লেন কুষ্টিয়ার মুসল্লিরা

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র তাপদাহ থেকে রেহাই পেতে ‘ইসতিসকার’ নামাজ অর্থাৎ বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা নির্ভর নামাজ পড়েছেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মুসল্লিরা।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের খড়িলার বিলে খোলা আকাশের নিচে নামাজ শেষে স্থানীয়দের আয়োজনে এই মোনাজাত হয়।

ইউনিয়নের বল্লভপুর, রসুলপুর, ভবানীপুর, জোতমোড়া ও বরইচারা গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক বাসিন্দা এতে শামিল হন। নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন রসুলপুর মাদ্রাসার হেফজখানার শিক্ষক মাওলানা মুফতি নাসির উদ্দিন আল ফরিদী। আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার একই স্থানে সকাল আটটার দিকে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা নির্ভর ‘ইসতিসকার’ নামাজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আয়োজকরা।

সূত্র জানায়, কয়েক শ’ মুসল্লি জায়নামাজ, খেজুরের পাটি ও গামছা নিয়ে মাঠে হাজির হয়েছেন। হুজুর প্রথমে মুসল্লিদের উদ্দেশে নামাজের নিয়মকানুন সম্পর্কে তুলে ধরেন। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন সবাই। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে সবাই প্রচণ্ড গরম, তীব্র তাপদাহ ও খরা থেকে রক্ষা পেতে এবং বৃষ্টির জন্য মোনাজাত করেন।

কৃষক জালিলুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টিবাদল নেই। খুব তাপ। কলে (টিউবওয়েলে) ও বোরিংয়ে পানি উঠছে না। মাঠের খেতখোলা নষ্ট হচ্ছে। তাই বৃষ্টি চেয়ে নামাজের মধ্যে আল্লাহকে রাজি-খুশি করানোর জন্য কান্নাকাটি করলাম।’

রসুলপুর মাদ্রাসার হেফজখানার শিক্ষক মাওলানা মুফতি নাসির উদ্দিন আল ফরিদী বলেন, ‘কোরআন-হাদিসের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণে মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীদের (সহযোগী) নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। সেজন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট পাপের তওবা করে ও ক্ষমা চেয়ে (ইসতিগফার) দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন।’

দহখোলা দক্ষিণ ভবানীপুর কওমি হাফেজিয়া মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা রাসেল মোল্লা বলেন, ‘দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখি ও গাছপালাসহ সবাই খুব কষ্টে আছে। সেজন্য তারা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়েছেন। আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার একই স্থানে বৃষ্টির নামাজ হবে।’

কুমারখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, ‘সকালে ৩৩-৩৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকছে। তবে বিকেল তিনটার দিকে তা বেড়ে ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে। প্রায় এক মাস কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। আপাতত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনাও নেই।’

Link copied!