জুন ২৯, ২০২৪, ১১:১৮ এএম
সম্প্রতি বাংলাদেশি অভিবাসীদের অযাচিত মন্তব্য করে নিজের দল লেবার পার্টিতেই প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী স্যার কিয়ার স্টারমার। এবার সুর পাল্টে তিনি বলেছেন, “আমি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের মনে আঘাত দেওয়া বা কোনও উদ্বেগ সৃষ্টি করতে চাইনি।”
ব্রিটিশ গণমাধ্যম আইটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টারমার জানান, যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের অবিশ্বাস্য অবদানকে মূল্যায়ন করেন তিনি। লেবার পার্টি ক্ষমতায় এলে সেই অনুযায়ী সম্পর্ক গড়ে তুলতে ও ভবিষ্যতে সেই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চান এই প্রার্থী। এর আগে চলতি সপ্তাহের সোমবার সান পত্রিকার পাঠকদের এক প্রশ্নের জবাবে লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার বলেন, “ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো থেকে আসা যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই, তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।”
এদিকে এই মন্তব্যের জেরে পদত্যাগ করেছেন পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে লেবার পার্টির ডেপুটি লিডার সাবিনা আক্তার। তিনি বলেন, “দলের নেতা যখন আমার সম্প্রদায়কে একঘরে করে, আমার বাংলাদেশি পরিচয়কে অপমান করে, তখন আমি আর দল নিয়ে গর্ব করতে পারি না।”
পরে অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থন করে স্টারমার জানান, তিনি শুধু এটুকুই বলেছেন যে, আশ্রয়প্রার্থী ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি নিরাপদ দেশ ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যার (বাংলাদেশের) প্রত্যাবর্তন চুক্তি রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সেখানে আশ্রয়প্রার্থীদের শীর্ষ দেশ হলো আফগানিস্তান, ইরান ও ভারত।