অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারকারীদের ‘শ্যুট ডাউন’ করা উচিত: হাইকোর্ট

আদালত প্রতিবেদক

নভেম্বর ৯, ২০২২, ০৭:৩০ এএম

অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারকারীদের ‘শ্যুট ডাউন’ করা উচিত: হাইকোর্ট

রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারে দায়ের করা ৫৬ মামলায় গত ৫ বছরেও  একটির অভিযোগপত্র না দেয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বেসিক ব্যাংকের অর্থ পাচারের মামলার আসামি মোহাম্মদ আলীর জামিন শুনানিকালে হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, ‘যারা বেসিক ব্যাংকের চার হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও পাচার করেছে, তাদের ‘শ্যুট ডাউন’ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন হাইকোর্ট

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবুল হোসেন; সঙ্গে ছিলেন মো. জুবায়দুর রহমান। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

শুনানিকালে আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুল হোসেন বলেন, পাঁচ বছর পার হয়ে গেলেও মামলায় অভিযোগপত্র দিচ্ছে না দুদক। সে কারণে বিচারও শেষ হচ্ছে না। এ সময় বেসিক ব্যাংকের ৫৬ মামলায় দুদক এখনও কেনো অভিযোগপত্র দেয়নি এ প্রশ্ন করেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।

‘অর্থ পাচারকারীরা জাতির শত্রু’ মন্তব্য করে আদালত বলেন, কেন এসব মামলার ট্রায়াল হবে না? অর্থ লুটপাট ও পাচারের মামলার সামারি ট্রায়াল হওয়া উচিত। যারা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে তাদের ‘শ্যুট ডাউন’ করা উচিত, এটাই তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।’

শুনানি শেষ হওয়ার পর আইনজীবী জুবায়দুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে বেসিক ব্যাংক সংক্রান্ত ১৫ থেকে ১৬টি মামলা। তিনটি মামলায় জামিন আবেদন করা হয়েছিল গত ২০ এপ্রিল। তখন আদালত জামিন আবেদনের শুনানি ছয় মাস মুলতবি রেখে দুদককে এই সময়ের মধ্যে মামলা তিনটির তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছিল।তবে  দুদক প্রতিবেদন না দেওয়ায় আজ জামিন শুনানি হয়।

জুবায়দুর রহমান গণমাধ্যমকে  আরও বলেন, ‘শুনানির পর আদালত বেসিক ব্যাংক সংক্রান্ত সব মামলার হালনাগাদ জানতে চেয়েছেন। সেই সঙ্গে এসব মামলার আসামিরা কে কোথায় আছে সে বিষয়টিও জানতে চেয়েছেন।”

আগামী ২১ নভেম্বর আবেদন তিনটি শুনানির জন্য রাখা হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী 

Link copied!