নিত্যপণ্যের অসাধু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ২৪, ২০২২, ১০:৩৫ পিএম

নিত্যপণ্যের অসাধু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অবৈধ মজুতদার এবং অসাধু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এ সময় পর্যায়ক্রমে দেশের প্রত্যেকটি উপজেলায় ফায়ার স্টেশন নির্মাণ করা হবে বলেও জানান সরকারপ্রধান।

রবিবার নতুন ৪০টি ফায়ার স্টেশন উদ্বোধনকালে সরকারপ্রধান এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে  ওই অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।

দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখার চেষ্টা করছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “যদিও করোনা ভাইরাসের জন্য সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। তার ওপর ইউক্রেন ও রাশিয়ার যে যুদ্ধ, সেই যুদ্ধ এর ওপর আরো বেশি প্রভাব ফেলছে। তারপরও আমি বলবো অনেক উন্নত দেশে এখন খাদ্যের জন্য হাহাকার।”

সরকারপ্রধান বলেন, “ইনফ্লেশন রেট কোথাও ১৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাচ্ছে। অনেক ইউরোপিয়ান দেশে ৭, ৮, ৯ শতাংশ ইনফ্লেশন (মূল্যস্ফীতি) রেট। তারপরও আমরা কিন্তু আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সেখানে যারা হোল্ডিং করবে বা যারা মানুষের এই প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে কোনো রকমের খেলা খেলতে যাবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।”

দেশের মানুষকে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “যুদ্ধের কারণে অনেক দেশ তাদের উৎপাদিত পণ্য আর রপ্তানি করছে না বা তারাও বিপদে আছে। সেক্ষেত্রে আমাদের দেশে- আমাদের যে মাটি, মানুষ আছে এটা ব্যবহার করে আমাদের নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে।”

দেশের প্রতি ইঞ্চি সদ্ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, “এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না। যেখানে যার যতটুকু আছে তা আবাদ করবেন। নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস নিজেরা উৎপাদন করে নিজেরা ব্যবহার করার ব্যবস্থা নিতে হবে। যেন আমাদের কারো মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে না হয়। সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন।” ’

শেখ হাসিনা বলেন, “মানুষের সুরক্ষার জন্য, মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য, মানুষের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সেই কাজের সুফলটা মানুষ যাতে পেতে পারে সেটাই আমরা চাই।”

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন স্থানে নবনির্মিত ৪০টি ফায়ার স্টেশন উদ্বোধন করায় দেশের পাঁচটি বিভাগের, ২৫টি জেলার, ৩৯টি উপজেলার ৪০টি ফায়ার স্টেশনের কার্যক্রম নতুন করে চালু হলো।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে দেশে ফায়ার স্টেশন ছিল মাত্র ২০৪টি। বর্তমানে দেশে চালু ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা ৪৫৬টি। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নতুন আরও ৫৫টি ফায়ার স্টেশনের কার্যক্রম শুরু করা যাবে বলে আশা করছেন তারা।

সারাদেশে প্রত্যেক উপজেলা ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে ফায়ার স্টেশন নির্মাণে তিনটি প্রকল্প চলমান। চলমান প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ফায়ার স্টেশনের মোট সংখ্যা হবে ৫৪৪টি।

ঢাকায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর প্রান্তে অন্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী  কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!