পরিত্যক্ত সম্পত্তি ছিল, বরাদ্দ হওয়ায় এখন এটা পুলিশের

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ২৭, ২০২২, ১১:৪১ পিএম

পরিত্যক্ত সম্পত্তি ছিল, বরাদ্দ হওয়ায় এখন এটা পুলিশের

রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় তেঁতুলতলা কখনও মাঠ ছিল না বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অসাদুজ্জামান খান কামাল। জায়গাটির বরাদ্দ পাওয়ায় তেঁতুলতলা মাঠ এখন পুলিশের সম্পত্তি বলেও তিনি জানান।

বুধবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত তেঁতুলতলা মাঠে থানা ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আন্দোলনকারীদের আসাদুজ্জামান খান বলেন, “তেঁতুলতলা কখনও মাঠ ছিল না, এটা পরিত্যক্ত সম্পত্তি ছিল, সেজন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে থানা নির্মাণের। কলাবাগানে একটা থানা ভবন করা প্রয়োজন। এই জায়গাটা পেয়েছি। এখন যদি মেয়র অন্য একটি জায়গা দেন সেখানে মাঠ হবে। এখানে বরাদ্দ হয়ে গেছে। এখন এটা পুলিশের সম্পত্তি।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “যারা আবেদন করেছেন সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা চিন্তা করবো কি করা যায়। বিকল্প জায়গা খুঁজে পাওয়া গেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। থানাও মানুষের জন্যই নির্মাণ হচ্ছে।”

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থপতি ইকবাল হাবিব, মানবাধিকার কর্মী খুশি কবিরসহ তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে মানবাধিকারকর্মী খুশি কবির গণমাধ্যমে বলেন, “আমরা স্পষ্ট বলেছি, তেঁতুলতলা মাঠে যে কাজটা হচ্ছে, আমরা চাচ্ছি দ্রুততম সময়ে তা বন্ধ করা হোক।  ঈদের জামাত ওখানেই হোক, যেটা সব সময় হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি আলোচনা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে তিনি চেষ্টা করবেন...যেহেতু কিছু টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিকল্প জায়গা খোঁজা হবে। আমাদেরও বলেছেন সহায়তা করতে। সবাই মিলে একটা বিকল্প জায়গা খুঁজে বের করা দরকার।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খুশি কবির বলেন, “কাজ বন্ধের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কমিশনারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।”

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ সময় সাংবাদিকদের জানান, “তিনি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) বলেছেন খেলার মাঠটার বিষয়টি তিনি নিজেও অনুভব করছেন।  কিন্তু উনারা ২৭ কোটি টাকা দিয়ে দিয়েছেন। তখন আমরা বলেছি, সেটা তো রাষ্ট্রীয় কোষাগারেই আছে। ওই এলাকায় আরও অনেক পরিত্যক্ত জায়গা আছে। একটা জায়গার কথা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে।”

বেলা’র প্রধান নির্বাহী আরও বলেন, “আমরা বলেছি, দেয়াল নির্মাণ কাজ বন্ধ করেন। কারণ এলাকাবাসী চরম অস্বস্তিতে আছে। পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসী মুখোমুখি হোক এটা আমরা চাই না। যদি এখানে দেয়াল হয়, ঈদের জামাত হতে পারবে না। দেয়াল নির্মাণটা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।” 

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের আরও বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, জায়গাটি যেহেতু পুলিশ কিনে নিয়েছে। ফলে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কথা বলবেন।”

Link copied!