বাংলাদেশ-ভারতের বিদ্যমান মধুর সম্পর্কে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বর ২, ২০২২, ০৩:৩৪ এএম

বাংলাদেশ-ভারতের বিদ্যমান মধুর সম্পর্কে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ

মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান এই মধুর সম্পর্ক ধরে রাখতে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। ভারত সফররত তথ্যমন্ত্রী এর আগে কলকাতা প্রেসক্লাব এবং ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

গণমাধ্যমে পাঠেো তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পরিচালক-জনসংযোগ মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তথ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার প্রথমে প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়ায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে তার হাতে উদ্বোধন করা বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টারে যান এবং সেখানে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সভাপতি উমাকান্ত লাখেরা, সাধারণ সম্পাদক বিনয় কুমার ও সাবেক সভাপতি গৌতম লাহিড়ীসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ মতবিনিময়ে যোগ দেন।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, আমরা শুধু নিজেদেরই নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় বিশ্বাস করি। তিস্তা নদীর পানিবণ্টনে চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বের সম্পর্ক কেবল তিস্তার উপর  নির্ভর করে না, আরো অনেক ইস্যু আছে।  আমাদের সম্পর্ক রক্তের বন্ধনে লেখা।  তিস্তার সমাধান হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। 

বাংলাদেশে ধর্মীয় সহাবস্থান নিয়ে এক ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সরকার সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকারে বিশ্বাস করে। সংখ্যলঘু বলে বাংলাদেশে কিছু নেই,  আমরা সবাই স্বাধীন দেশের নাগরিক।”

হাছান মাহমুদ বলেন, “আমাদের সরকার এবং দল অসাম্প্রদায়িকতা ও সব ধরনের মানুষের সম্প্রীতি ও বন্ধনে বিশ্বাস করে।  হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় দূর্গাপূজায় এবার আগের বছরের চেয়ে ৭ হাজার পূজামন্ডপ বেশি হয়েছো। দেশব্যাপী উৎসবমুখর পরিবেশে এবার বাংলাদেশে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।”

এ সকল বিষয় গণমাধ্যমের মাধ্যমেই দু'দেশের মানুষ জানবে এবং পারস্পরিক বন্ধন দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হবে আশাপ্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী।

দেশের গণমাধ্যম প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী  বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার মুক্তমত প্রকাশ ও বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন বলেই গণমাধ্যমের বিকাশ ঘটেছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যম পুরোপুরি স্বাধীন। গণমাধ্যমে মুক্তমত প্রকাশের স্বাধীনতা ভোগ করছে গণমাধ্যমকর্মীরা।”

এ বিষয়ে উদাহরণ টেনে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরেই দেশে প্রথম বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়। এক সময়ে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ইলেকট্রনিক প্রচারমাধ্যম বিটিভি ছাড়া অন্য কোনো টেলিভিশন ছিল না। বর্তমান সরকারের আমলে ৪০টির উপরে বেসরকারি টেলিভিশন রয়েছে। আমার মন্ত্রণালয়ে কমপক্ষে ৫ হাজার অনলাইন পোর্টালের নিবন্ধনের আবেদন রয়েছে যা রীতিমতো অকল্পনীয়।”

Link copied!