ঘুষের মামলায় আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৯ হাজার ডলার জরিমানা করেছেন দেশটির একটি আদালত। একই সঙ্গে ট্রাম্পকে সতর্ক করা হয়েছে যে পরবর্তী সময় আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করলে তার কারাবাসও হতে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) নিউইয়র্কের একটি আদালত এই আদেশ দেন। পর্নোতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানি চলছিল ওই আদালতে। বিচারক হুয়ান মারচেন ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পকে আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করেন।
আদালতের ওই আদেশ ছিল, ট্রাম্প যেন প্রকাশ্যে মামলার সাক্ষী, বিচারক বা আদালতের কর্মী এবং তাঁদের আত্মীয়স্বজনকে আক্রমণ না করেন।
৯ বার এই আদেশ লঙ্ঘনের জন্য ট্রাম্পকে জরিমানা করেন বিচারক। প্রতিবারের জন্য তাকে এক হাজার ডলার করে জরিমানা দিতে হবে। এছাড়া ট্রাম্পকে আজ বিকেলের মধ্যে তার নিজের তৈরি করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল থেকে সাতটি এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার ওয়েবসাইট থেকে দুটি পোস্ট সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ২৩ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা পোস্টে এ মামলার বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। ট্রাম্পের করা এমন ১০টি পোস্টের কথা উল্লেখ করে তাকে ১০ হাজার ডলার জরিমানা করার দাবি জানিয়েছিলেন প্রসিকিউটররা। সেসব পোস্টে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ঘুষ মামলার সম্ভাব্য সাক্ষীদের অপমান করেছেন এবং জুরির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
উল্লেখ্য, আদালতের আদেশ অমান্য করলে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ দিনের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। ফলে নতুন এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে ট্রাম্পকে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশও দিতে পারবেন বিচারক।
সূত্র: রয়টার্স