হামলা আর মামলা এ দুটো তাদের বড় অস্ত্র: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বর ৬, ২০২২, ০৪:৫৯ এএম

হামলা আর মামলা এ দুটো তাদের বড় অস্ত্র: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সব আশা আকাঙ্ক্ষা চুরমার করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সব ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের সমস্ত অর্জন ধ্বংস করেছে। আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। এরা ১৫ বছর ধরে তারা এখানে একদলীয় শাসন করতে চায়। খোলস, মোড়ক রাখতে চায় গণতন্ত্রের। হামলা আর মামলা এ দুটো তাদের বড় অস্ত্র। যাদের ওপর হামলা হলো, তাদের ওপরই মামলা করে। আব্দুর রহিম, নূরে আলম যারা মারা গেছেন। আজকে কেউ নিরাপদ নয়।’ 

শনিবার (৫ নভেম্বর) বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেছেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ভোট যখনই আসে, তখনই চুরি করে। আওয়ামী লীগের চরিত্রের মধ্যে দুটো জিনিস-চুরি আর সন্ত্রাস। পরিষ্কার বলতে চাই ১৪, ১৮ তে ভোট চুরি করেছে। এখন নতুন সব বুদ্ধি দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। ইভিএম, নতুন কমিশন। আমাদের কথা পরিষ্কার। হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে না। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। পদত্যাগ করে, সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।’

দেশ থেকে টাকা পাচার হয়ে গেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমস্ত টাকা পাচার করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। বলে আমি কী করব। নানা সংকট, যুদ্ধ। তখন মনে ছিল না। যখন টাকা পাচার করছিলেন। বিদ্যুতে নাকি স্বয়ংসম্পূর্ণ, আতশবাজি করল। সেই বিদ্যুৎ এখন নাই। বিদ্যুতে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে। কুইক রেন্টাল পাওয়ার দিয়ে চুরি করেছে। একটা জায়গা নাই, একটা ক্ষেত্র নাই চুরি করে নাই।’ 

আওয়ামী লীগকে বর্গি আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াব বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে বলেছিল। একটা ছেলেকেও দিয়েছে? আ. লীগের লোকজনকে দিয়েছে। ২০ লাখ টাকা করে নিয়েছে। আ. লীগ বর্গির মতো। আ. লীগ বর্গির রূপ নিয়েছে।’ 

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘এই সরকার কী দিয়েছে-দুর্ভিক্ষ! ঘোষণা দিয়ে হামলা, মামলা! খাদ্যে নাকি স্বয়ংসম্পূর্ণ? উন্নয়ন আর উন্নয়ন। ৪২ ভাগ সীমার নিচে ৩০ ভাগ খাদ্য সংকট। বাজারে যাওয়া যায় না। আমরা মুক্তি চাই। দেশের মানুষ কোনো কথা শুনতে চায় না। টেক ব্যাক বাংলাদেশ। ফয়সালা হবে রাজপথে। রাজপথে ফয়সালা করে বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনব।’ 

উপস্থিত নেতা কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জাতির প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ হই। আন্দোলন শুধু বিএনপির নয়, খালেদা-তারেকের জন্য নয়। সমস্ত জাতিকে রক্ষার, অধিকার ফিরে পাওয়ার, সন্তানকে ফিরে পাওয়ার আন্দোলন। নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সরকার হবে।’ 

এ সময় আরও বক্তব্য দেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ডক্টর আব্দুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আলতাব হোসেন চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান ছারোয়ার, সৈয়দ মুয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিবুন নবী খান সোহেল, বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন প্রমুখ।

Link copied!