‘মানুষ কষ্টে থাকার দোষ সরকারের না, দোষ হলো যুদ্ধের, নিষেধাজ্ঞার’

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩, ০৩:৪৬ এএম

‘মানুষ কষ্টে থাকার দোষ সরকারের না, দোষ হলো যুদ্ধের, নিষেধাজ্ঞার’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “বলবো না বেহেস্তে আছেন। এমন কথা যারা বলে ঠিক বলেন না। মানুষ কষ্টে আছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গেছে। জ্বালানির দাম বেড়ে গেছে। এটা আমাদের দোষ না। দোষ হলো যুদ্ধের, নিষেধাজ্ঞার। এর শাস্তি পাচ্ছি আমরা।”

রবিবার বিকেলে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। 

আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে বিএনপিকে আহবান জানিয়ে আওয়ামী  লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাই না। নির্বাচনে আসুন। পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসেন। এখনও বলছি জনগণ ভোট না দিলে আমরা নাই। জনগনের ভোটেই (ক্ষমতা) পরিবর্তন হবে। হাকডাক দিয়ে পরিবর্তন হয় না।” 

ওবায়দুল কাদের বলেন, “১০ ডিসেম্বরের এতো আওয়াজ, এতো লাল কার্ড কোথায় গেলো? সব গোলাপবাগের গরুর হাটে। বিএনপির আন্দোলন গুরুতর আহত। মাঝে মাঝে মনে হয় পিপিলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে। এতো লাফালাফি পতনটা নিজেদেরই হবে। অপেক্ষা করুন। ধৈর্য্য ধরুন। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি করে যাবো। কোনো পাল্টপাল্টি নয়। আমরা এক বছরের কর্মসূচি দিয়ে রেখেছি, কখনো শান্তি সমাবেশ, কখনো সম্মেলন, কখনো গণসংযোগ।”

বিএনপির কর্মসূচির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক ভুয়া, পদযাত্রা, পতনযাত্রা এটাও ভুয়া। লোক কমে যাচ্ছে। মিছিলে প্রস্থে লোক বাড়ে, লম্বায় কমে গেছে। তার মানে সব নেতা। সামনে নেতা পেছনের কর্মীরা চলে যাচ্ছে। কতো স্বপ্ন দেখিয়ে কর্মীদের হাড়ি-পাতিল-লোটা-কম্বল-মশারী সব নিয়ে পাতিলেল পর পাতিল খাবার তৈরি হচ্ছে মির্জা আব্বাসের ওখানে। সেসব কোথায় গেলো? 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রুহুলের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ ।

Link copied!