প্রেমিক প্রেমিকার চড় তো অনেকেই খেয়েছেন কিন্তু কখনো কি টাকা ব্যয় করে চড় খেয়েছেন? বা ভেবেছেন এমনটাও হয়? এমনই বিচিত্র এক রেস্তোরাঁ রয়েছে যেখানে টাকা দিয়ে সুন্দরীদের চড় খেতে যায় মানুষ। মানুষের দাবী সেখানে সুন্দরীদের চড় খেয়ে স্ট্রেস রিলিভ হয়। এমনই এক অদ্ভুত রেস্তোরাঁ রয়েছে জাপানে যেখানে সুস্বাদু খাবারের সাথে সুন্দরীদের দিয়ে চড়ও পরিবেশন করা হয়।
মুখোরচক খাবার থাকা স্বত্ত্বেও জাপানের এই রেস্তোরাঁ মূলত চড় থাপ্পড়ের জন্যই বিক্ষ্যাত। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রেস্তোরাঁর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। জাপানের নাগোয়ায় অবস্থিত রেস্তোরাঁটির নাম সাচিহোকো ইয়া ইজাকায়া। ২০১২ সালে প্রথম চড় দেওয়ার এই সেবা শুরু করেন রেস্তোরাঁর মালিক। সাচিহোকো ইয়া ইজাকায়ায় অন্যান্য খাবারের তালিকার পাশাপাশি মেন্যু কার্ডে রাখা হয় এক অদ্ভুত ডিশ। যার নাম “নাগোয়া লেডিস স্ল্যাপ” । মেন্যু কার্ডে রাখা এই আজব ডিশের দাম জাপানী মুদ্রায় ৩০০ ইয়েন যেটি বাংলাদেশি মুদ্রায় ২২৫ টাকা। শুরুর দিকে এই থাপ্পড় দেওয়ার সার্ভিসটি ছিলো ফ্রি তবে জনপ্রিয়তার সাথে সাথে এই সার্ভিস পেতে হলে এখন গুনতে হবে ৩০০ জাপানী ইয়েন।
জাপানী ঐতিহ্যবাহী পোশাক কিমোনো পরিধান করা রেস্তোরাঁর ওয়েটরেসদের চড় খেতে আসা ব্যাক্তিরা জানান যে, চড় খেয়ে তাদের ব্যাথা লাগে না বরং এই চড় তাদের স্ট্রেস রিলিভ করতে সাহায্য করে। প্রথম প্রথম রেস্তোরাঁর নারীকর্মীদের দিয়ে কাস্টোমারদের থাপ্পড় খাওয়াতেন রেস্তোরাঁর মালিক, তবে তারপর শুধুমাত্র থাপ্পড় মারার জন্যই তরুণী নিয়োগ দেওয়া শুরু করে এই রেস্তোরাঁ। আপনারা অনেকেই ভাবতে পারেন যে এই রেস্তোরাঁয় শুধু পুরুষরাই আসেন তবে আশ্চর্যজনক বিষয় হল নারীরাও এই রেস্তোরাঁয় আসেন চড় খেয়ে স্ট্রেস রিলিভ করতে বা রিল্যাক্স হতে। রেস্তোরাঁর মালিক এবং ক্রেতারা মনে করেন এই চড় থেরাপির মতো কাজ করে।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, রেস্তোরাঁটি চড় খাওয়া পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেস্তোরাঁটি নভেম্বরে বন্ধ করা হয়েছিলো এবং এই ব্যাপার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম “এক্স” (পূর্বে টুইটার) জানানো হয়েছিলো।
এক্সে পোস্ট করা ওই লেখায় কর্তৃপক্ষ জানায়- “সাচিহোকো ইয়া ইজাকায়া বর্তমানে চড় মারার সার্ভিসটি দিয়ে থাকে না। আমরা আনন্দিত যে আমাদের এই চড় মারার প্রথাটি এতো নজর কেড়েছে সবার। আমরা এই সমাদরকে গ্রহণ করি কিন্তু এখন আর আমরা কোনো কাস্টমারকে এই সার্ভিসটি দিয়ে থাকি না। আমাদের রেস্তোরাঁয় এই সার্ভিসটি দেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। অনুগ্রহ করে কেউ যদি আমাদের রেস্তোরাঁয় এসে ভোজন করতে দায় তবে তাদের স্বাগতম কিন্তু এটা মাথায় রেখে আসতে হবে যে আমরা চড় মারার সার্ভিসটি বন্ধ করে দিয়েছি।