ভারতের রাজস্থানের কোটপুতলি-বেহরোর জেলার একটি গ্রামের মানুষ ভোট দিয়ে তাদের এলাকার একটি মদের দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন। কান্সলি নামের ওই গ্রামটিতে একশো বছরেরও বেশি পুরনো প্রাসাদ রয়েছে, যেগুলো দেখে বোঝা যায় যে যথেষ্ট সমৃদ্ধ এই গ্রামটি। এই গ্রাম থেকে অনেক নামকরা ব্যবসায়ী এবং আমলা উঠে এসেছেন।
গ্রামেরই একটি সরকারি স্কুলে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মদের দোকান বন্ধ করার জন্য ভোটের ব্যবস্থা করে স্থানীয় প্রশাসন।
কোটপুতলি-বেহরোরের অতিরিক্ত জেলা কালেক্টর যোগেশ কুমার ডাগুর বলেন, পঞ্চায়েতের ৩ হাজার ৮৭২ জন ভোটারের মধ্যে ২ হাজার ৯৩২ জন ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে ২ হাজার ৯১৯ জন ভোটার মদের দোকান বন্ধের পক্ষে এবং চারজন মদের দোকান বন্ধ না করার পক্ষে ভোট দেন। নয়টি ভোট বাতিল হয়েছে।
কান্সলি গ্রাম পঞ্চায়েত ২০২২ সালের জুন মাসে গ্রামে মদের দোকান বন্ধ করার জন্য স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে একটি আবেদন দিয়েছিল। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে তৎকালীন মহকুমা কর্মকর্তা গ্রামে একটি সমীক্ষা চালানোর নির্দেশ দেন স্থানীয় প্রশাসনকে। প্রথম সমীক্ষায় ২৪ শতাংশ মানুষ মদের দোকান বন্ধ করার পক্ষে মত দিয়েছিলেন।
ওই সমীক্ষা রিপোর্ট ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে দেন আবগারি কমিশনারের কাছে। সেখান থেকে নির্দেশ আসে যে আবারও সমীক্ষা চালিয়ে ভোটদান প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তবে রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনের কারণে তখন ভোটের ব্যবস্থা করা যায়নি।
অতিরিক্ত জেলা কালেক্টর জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারির ভোটে নারীদের অংশগ্রহণ যথেষ্ট বেশি ছিল। ভোটাভুটির পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবগারি কমিশনারের কাছে জানানো হয় এবং সেখান থেকে মদের দোকান বন্ধের নির্দেশনা জারি করা হয়।
আবগারি কমিশনার অংশদীপ বলেন, মদের দোকান বন্ধের পক্ষে ভোট দেয়ার খবর এসেছে। আগামী অর্থ বছর থেকে অর্থাৎ পহেলা এপ্রিল থেকে কান্সলি গ্রাম পঞ্চায়েতে মদের দোকান বরাদ্দ করা হবে না, আমরা ২৯ ফেব্রুয়ারি আদেশ জারি করেছি।