বিধবা এক নারীকে শিকলে বেঁধে তার জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গত ২১ জানুয়ারি পাবনার আটঘরিয়ায় এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
তবে শিকল দিয়ে বেধে রাখার বিষয়টি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন আটঘরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান হাফিজ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২১ জানুয়ারি উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের বাঐখোলা গ্রামে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে চাঁদভা ইউনিয়নের বাঐখোলা গ্রামে একই এলাকার রমিজ উদ্দিনের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে ওই বিধবাকে বেদম মারপিট করার পর তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে। পরে তার জমির ওপর টিনের ঘর তুলে জমি দখল করে নেয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত কোনো একজন মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। পরে তিনি ওই ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দিলে তা ভাইরাল হয়।
ভুক্তভোগী বিধবার অভিযোগ, রমিজ উদ্দিন প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজন নিয়ে এসে তাকে মারপিট করে শিকল দিয়ে বেঁধে তার ২০ শতাংশ আবাদি জমি দখল করে নিয়েছে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
তার ছেলের অভিযোগ, বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরে ৯৯৯ ফোন দিলে আটঘরিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত রমিজ উদ্দিনের পক্ষে অবস্থান নেন।
কয়েকজন প্রতিবেশী অভিযোগ করে বলেন, রমিজ উদ্দিন ঘটনার দিন বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে অতর্কিতভাবে ওই বিধবার জমি দখল করেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রমিজ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে আটঘরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, “থানার এসআই আবুল কালামকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। তবে শিকল দিয়ে বাঁধার বিষয়টি সাজানো।”
আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাই।”