অক্টোবর ২৮, ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কমিটিতে থাকলে তাদের গণহারে গ্রেপ্তার করতে হবে, এটা সমর্থন করেন না বলে জানিয়েছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
নিজের ফেইসবুকের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ কথা লিখেছেন তিনি। বলেছেন, `একটা বিষয়ে স্পষ্ট দ্বিমত প্রকাশ করতে চাই৷ বিষয়টা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে৷সত্য সত্যই৷ কে কি বললো তাতে আমার কিছু যায় আসে না৷`
সারজিস লিখেছেন, `১ জুলাই এর পূর্বে এবং ১ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে আন্দোলন চলমান ছিল, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল৷ এই আন্দোলনটা মেইনলি ১৫ তারিখ পর্যন্ত হলের ছেলেমেয়েরাই নিয়ে গিয়েছে৷
`যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সম্পর্কে ধারণা রাখেন তারা খুব ভালো করে জানেন এখানে হলে থাকতে হলে অবশ্যই ছাত্রলীগ করতে হতো৷ সেজন্য হলে যারা থাকতো তাদের অধিকাংশ একপ্রকার বাধ্য হয়েই এসব করতো।`
সারজিস আলম লিখেছেন, `হলের যে ছাত্রলীগের কমিটি হতো এখানে প্রায় ৮০% শিক্ষার্থী কমিটিতে থাকতো কিছু কারণে। যেমন: ১. ভালো একটা রুম বা সিট যেন পাওয়া যায়। ২. যেন চাকরি হওয়া পর্যন্ত হলে থাকা যায়। ৩. অন্যরা যেন তার উপর অন্যায় না করে বা ট্যাগ না দেয়৷
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নতুন নির্বাসন: সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দলের ছাত্ররা এখন আত্মগোপনে
`ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক এই প্রথম ধাপের ১৬-১৭ দিনের আন্দোলনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ওই ৮০% স্টুডেন্ট৷ তারা যেমন পোস্টেড ছিল, তেমনি হলের তুলনামূলক ক্লিন ইমেজ প্রভাব রাখা ফেইস ছিল৷ ১৫ জুলাই পর্যন্ত আন্দোলন না আসলে ৫ আগস্ট কখনো সম্ভব হতো কিনা সে বিষয়ে ঢের সন্দেহ আছে৷
ছাত্রলীগের পোস্টেড ওই নেতাদের বিষয়ে তিনি লিখেছেন, `এখন প্রশ্ন হচ্ছে হলের এই পোস্টেড ছেলেগুলোকে আমি ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে নিষিদ্ধের কাতারে ফেলবো কিনা৷ উত্তর: "ফেলবো না৷"
`যে সিস্টেমের কারণে এদেরকে বাধ্যতামূলক ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে হয়েছে, পোস্ট নিতে হয়েছে সেই সিস্টেমের জন্য দায়ী হলে আপনাদের সবাইকে দায়ী হতে হবে৷ কারণ আপনারা চুপ ছিলেন,` সাফ জানিয়ে দিয়েছেন করেছেন সারজিস।
তিনি আরও লিখেছেন, যারা সময়ের প্রয়োজনে ন্যায়ের পক্ষে ছাত্রলীগের সকল বাঁধা উপেক্ষা করে আমার সাথে জীবন বাজি রেখে রাজপথে নেমেছে তারা আমার ভাই৷ ২৪ এর অভ্যুত্থানের যোদ্ধা৷ আমি তাদের পক্ষে থাকবো৷ সত্য সত্যই৷ কে কি বললো তাতে আমার কিছু যায় আসে না৷`