যেদিন পৃথিবী থেকে হারিয়ে যান ‘বাংলার বাঘ’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ২৭, ২০২৩, ০১:১৫ পিএম

যেদিন পৃথিবী থেকে হারিয়ে যান ‘বাংলার বাঘ’

অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা আবুল কাশেম (এ কে) ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল)।

১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন বাংলার কৃষক ও মেহনতি মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু ও দুই বাংলার জনপ্রিয় এ নেতা । শিক্ষানুরাগী এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জীবন্ত প্রতীক হিসেবেও শেরেবাংলা ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে আছেন।

১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরের সাতুরিয়া গ্রামের মিঞাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন এ কে ফজলুল হক। 

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, কলকাতা সিটি করপোরেশনের প্রথম মুসলিম মেয়র, পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর, যুক্তফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনসভার সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৪০ সালে তিনি ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি ২১ দফা দাবিরও প্রণেতা ছিলেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনেও শেরেবাংলা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। 

বাংলার কৃষক প্রজা পার্টির এ নেতা কৃষকদের অধিকার আদায়ে সবসময় সোচ্চার ছিলেন। তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে দরিদ্র কৃষক এবং প্রজাদের স্বার্থরক্ষায় কৃষিঋণ আইন এবং প্রজাস্বত্ব (সংশোধনী) আইনসহ বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেন। তাঁর সাহসী নেতৃত্ব, উদার ও পরোপকারী স্বভাবের জন্য জনগণ তাকে ‘শেরেবাংলা’ বা ‘বাংলার বাঘ’ খেতাবে ভূষিত করে। 

শেরেবাংলার পরিচয় দিতে গিয়ে বাংলার বিজ্ঞানী, মানবদরদী ডা. প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বলেছেন, বাঙালি জাতির ভবিষ্যৎ অস্তিত্ব নির্ভর করে হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের ওপর। ফজলুল হক এই ঐক্যের প্রতীক। আমি কংগ্রেসিদের ভারতীয় জাতীয়তা বুঝি না। আমি বুঝি বাঙালি জাতীয়তা। এ জাতীয়তা প্রতিষ্ঠা করতে পারেন একমাত্র ফজলুল হক। ফজলুল হক মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত খাঁটি বাঙালি। সেই সঙ্গে ফজলুল হক মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত খাঁটি মুসলমান। খাঁটি বাঙালিত্বের সঙ্গে খাঁটি মুসলমানত্বের এমন অপূর্ব সমন্বয় আমি আর দেখিনি। 

Link copied!