মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) মঙ্গলে পাঠানো মহাকাশযান ‘পারসেভ্যারেন্স’ রোভারের মঙ্গলে অবতরণের নতুন ছবি, ভিডিও ও অডিও প্রকাশ করেছে। ৩ মিনিট ২৫ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে শোনা গিয়েছে মঙ্গলের বাতাসের মৃদু ধ্বনি।
মহাকাশযানটি মঙ্গলের বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করার ২৩০ সেকেন্ড পর থেকে শুরু হয় ভিডিও। মহাকাশযানটির গতি ছিল তখন ঘণ্টায় সাড়ে ১২ হাজার মাইল। অবতরণের পূর্বের রুদ্ধশ্বাসময় চ্যালেঞ্জ গতি কমাতে ব্যবহার করা হয় ৭০ ফুট ব্যাসের প্যারাশ্যুট।
ভিডিওতে মরুভূমির মতো দেখতে উচুঁ-নিচু পৃষ্ঠদেশ দেখা গিয়েছে, বড় বড় গহ্বরও দেখা যায়। মহাকাশযানটি২০ মিটার দুরুত্ব থেকে মঙ্গলের কাছে এগিয়ে আসার সময় গ্রহটির পৃষ্ঠদেশ থেকে ধুলো উড়তে শুরু করে। পৃষ্ঠদেশের কাছে পৌঁছাতেই রোভারের আটটি চাকাই খুলতে শুরু করে এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই রোভার মঙ্গলের বুকে অবতরণ করে।
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবেরোটরির ডিরেক্টর মাইকেল ওয়্যাটকিনস বলেন, ‘এই ভিডিওগুলো অসাধারণ। আমরা সবাই এই ভিডিওগুলি গত দুই দিন ধরে ক্রমাগত দেখে চলেছি।’
নামার পর মঙ্গলের চারদিকের ছবি তুলেছে পারসেভ্যারেন্সের মাথায় লাগানো ২৫ টি নেভিগেশন ক্যামেরা। শব্দ শনাক্ত করেছে দুটি মাইক্রোফোন।
পারসেভারেন্স আগামী দশ বছর মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব জানতে নমুনা ও তথ্য সংগ্রহ করবে। তবে এটি আর কোনোদিন পৃথিবীতে ফিরবে না। ২০২৬ সালে পুনরায় মঙ্গলে পাঠানো হবে আরেকটি মহাকাশযান, সেটিই ২০৩০ সালে পারসেভারেন্সের সংগৃহীত নমুনা পৃথিবীতে নিয়ে আসবে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান