টেইলর সুইফটের কণ্ঠে শুনতে পারবেন মমতাজের গান!

ফারজানা আক্তার

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪, ০৬:২৯ পিএম

টেইলর সুইফটের কণ্ঠে শুনতে পারবেন মমতাজের গান!

ছবি: সংগৃহীত

প্রিয় শিল্পীর কণ্ঠে নিজের পছন্দের গান শোনাতে আসছে ইউটিউবের এআই ফিচার। ফিচারটির নাম ‘ড্রিম ট্র্যাক’।  

ইউজাররা তাদের একজন পছন্দের শিল্পীকে বেছে নিয়ে সর্বোচ্চ ৫০ অক্ষরের নির্দেশনা দিতে পারবেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইর সাহায্যে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ওই শিল্পীর কণ্ঠে গাওয়া একটি গান তৈরি হয়ে যাবে। 

চাইলে আপনি টেইলর সুইফটের কণ্ঠে শুনতে পারবেন মমতাজের গানও! আপাতত ডেমি লোভাটো, জন লেজেন্ড, চার্লি এক্সসিএক্স, টি-পেইন, চার্লি পুথ, সিয়ার মতো শিল্পীদের কণ্ঠে গান তৈরি করা যাচ্ছে। এই ফিচারটি এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে। 

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত ১০০ নির্মাতা পরীক্ষামূলকভাবে টুলটি ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছেন। টুলটিতে নিজেদের কণ্ঠ ব্যবহারের জন্য আপাতত নয়জন শিল্পী অনুমতি দিয়েছেন। ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে শিল্পীদের কণ্ঠে গান তৈরি করা হলেও মেধাস্বত্ব আইন ভঙ্গ হবে না। ড্রিম ট্যাক দিয়ে তৈরি গান শুধু ইউটিউব শর্টসে শেয়ার করা যাবে।  

যেসব নির্বাচিত ইউটিউবারকে এই ফিচারটি ব্যবহারের অগ্রীম সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তাদের একজন ক্লিও আব্রাম। তার তৈরি ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনি প্রথমে শিল্পী হিসেবে চার্লি পুথকে বাছাই করেছেন এবং কয়েক শব্দে তার কুকুরকে নিয়ে একটি গান তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই গানটি তৈরি হয়ে যায় এবং কণ্ঠ অনেকটাই পুথের মতোই। 


বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গানগুলোর মান খারাপ হলেও শিল্পীদের স্টাইল বোঝা যাচ্ছে। এক ব্লগ পোস্টে ইউটিউবের মিউজিক বিভাগের প্রধান বলেছেন, শিল্পী ও দর্শকদের ‘প্রতিক্রিয়া বোঝা, শেখা ও তাদের পরামর্শ শোনার’ জন্য এই ফিচারটি তৈরি করা হয়েছে। 

ইউটিউবের গ্লোবাল হেড অব মিউজিক লিওর কোহেন জানিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি গানগুলো শনাক্ত করে ওয়াটারমার্ক দেওয়া হবে। এর ফলে শ্রোতারা সহজে বুঝতে পারবেন, গানটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে থাকা এই প্রযুক্তি শিল্পী, তাদের ভক্ত এবং নির্মাতাদের মধ্যে সংযোগ তৈরি করতে সাহায্য করবে। 

শিল্পী চার্লি এক্সসিএক্স বলেন, ‘ইউটিউব যখন প্রথম এই বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করে, তখনও আমি সতর্ক ছিলাম, এখনো আছি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্ব এবং সঙ্গীত শিল্পকে এমনভাবে রূপান্তরিত করতে যাচ্ছে যা আমরা এখনও পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারিনি। সৃজনশীল খাতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা কেমন, তা এই পরীক্ষার মাধ্যমে কিছুটা বোঝা যেতে পারে। আমি এর ফলাফল দেখতে চাই।’ 

প্রায় একই রকম মতামত টি-পেইনেরও। তিনি বলেন, ‘এআই প্রযুক্তির বিকাশ দ্রুত ঘটছে এবং আমাদেরও সেই প্রক্রিয়ার অংশ হওয়া উচিত।’ 

ডেমি লোভাটো বলেন, ‘এআই শিল্পী হিসেবে আমাদের ভবিষ্যতের ওপর বড় প্রভাব ফেলবে এবং আমি মনে করি এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমাদের জড়িত থাকা দরকার।’

Link copied!